ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখেন ইমরুল

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৭ আগস্ট ২০১৮

 নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখেন ইমরুল

মিথুন আশরাফ ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে গিয়ে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি ইমরুল কায়েসের। সামনেই এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। যখনই তার সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হলো, এশিয়া কাপের জন্য কতটা প্রস্তুত? ইমরুল জানিয়ে দিলেন, ‘নিজেকে সবসময় প্রস্তুত করে রাখি।’ জাতীয় দলে সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগানোর সঙ্গে সবসময় ফিট থাকার দিকেও মনোযোগী ইমরুল, ‘যখনই জাতীয় দলে সুযোগ পাব তখন সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত রাখা জরুরী। সবসময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। আপনারা জানেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেলেও কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। তবে আমি ঈদের ছুটির শুরুর পূর্ব পর্যন্ত অনুশীলন করছি। মাঝে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম, ট্রিটমেন্টের জন্য। যতদিন আমি এখানে ছিলাম ততদিন অনুশীলন করেছি।’ ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গী খোঁজা হচ্ছে। যা কোনভাবেই মিলছে না। তবে তামিমের সঙ্গে ভাল জুটি উপহার দিয়েছেন ইমরুল। কিন্তু তিনিও খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। কখনও কখনও পজিশনই পরিবর্তন হচ্ছে। আর তাতেই ইমরুলের খেলায় প্রভাব পড়ছে বলেই তার মনে হয়েছে। ইমরুলই যেমন বলেছেন, ‘দেখুন, একটানা যদি একটা পজিশনে খেলা যায় তাহলে সেই পজিশনের জন্য নিজেকে মানিয়ে নেয়া যায়। একটু নড়াচড়া হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। একটু সমস্যা তো হয়ই। সবাই খারাপ খেলবে, ভাল খেলবে, এইসব নিয়েই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার। সবাই একই ধারায় থাকে না। হয়তো আমার ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন হয়। আমি চেষ্টা করছি সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে। যতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা আছে, ততদিন নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করব। আর তামিমের সঙ্গে সবসময় খেলতে ভাল লাগে কারণ, আমাদের পার্টনারশিপটা খুব ভাল হয়। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের পার্টনারশিপটা ভাল হয়েছে এবং অনেক বড় বড় রান করেছি আমরা এক সঙ্গে। যদি আবার সুযোগ হয় তাহলে আবার সেই পারফর্মেন্স ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করব।’ ব্যাটিং দুর্বলতা নিয়েও মনের কথা বলেছেন ইমরুল। আর ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন ইমরুল। জানিয়েছেন, ‘একটা প্লেয়ারের দুর্বলতা থাকেই, আমার মনে হয় কমবেশি সবারই ব্যাটিং-এ ত্রুটি থাকে। এটা সবারই থাকবে। আর ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না, কারণ ১০ মাসে অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে। তবে যখনই সুযোগটা আসবে, আমি চেষ্টা করব সুযোগটা কাজে লাগানোর। বিশ্বকাপটা ভাগ্যের বিষয়। অনেক সময় দলে থেকেও কেউ খেলতে পারে না, ইনজুরি বা অন্য কোন সমস্যা হয়। আমার মনে হয় বিশ্বকাপ চিন্তা না করে এখন সিরিজ বাই সিরিজ চিন্তা করা উচিত।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘প্রতিটা ক্রিকেটারের পরিকল্পনা থাকে দেশের হয়ে ভাল খেলার। আমিও নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করি। কেউ সফল হয়, আবার হয়তো কেউ হয় না। আমি নিজেকে সেইভাবেই প্রস্তুত করছি।’ দলে এখন অনেক প্রতিযোগিতা। নির্ধারিত স্থানগুলোতে ক্রিকেটার আছেন। কিন্তু বাকি স্থানগুলোতে প্রতিযোগিতা লেগেই আছে। এক সিরিজে একজন খেলেন। আরেক সিরিজে আরেকজনকে দেখা যায়। এই প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই দেখছেন ইমরুল, ‘যখন কোন দলে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দলের পারফর্মেন্স ভাল হয়। আপনারা দেখছেন ওয়ানডে বা শর্ট ভার্সনের ক্রিকেটে আমরা অনেক ভাল খেলছি। এমন প্রতিযোগিতা থাকলে সবাই চেষ্টা করে নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে। এটা একদিক থেকে ইতিবাচক। আরেকদিক থেকে একটু নেতিবাচকও বটে। একটা প্লেয়ার যদি এক-দুই সিরিজে বাজে করে বাদ পড়ে তাহলে সেটা তারজন্য কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটু হতাশ হয়ে গেলে ফর্মে ফেরা একটু কঠিন।’ নতুন কোচ স্টিভ রোডস ইমরুলের খেলা দেখেছেন। ইমরুলকে আশ্বাসও দিয়েছেন সুযোগ আসবে। কোচের প্রশংসা করার সঙ্গে ইমরুল বললেন, ‘আমার কাছে ভাল লেগেছে। ম্যান ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে তিনি খুবই ভাল। তিনি একজন ভদ্রলোকের মতোন। দলকে খুবই ভালভাবে প্রেরণা দিতে পারে। সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক তার যা আমাদের জাতীয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এটা অনেক ভাল দিক। সে আমার ব্যাটিং দেখেছে, ব্যাটিং দেখে ওর ভাল লেগেছে। সে আমাকে বলেছে, ‘তুমি কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান, তোমার খেলা আমি এর আগে দেখেছি। তোমার সুযোগ অবশ্যই আসবে। তুমি চেষ্টা কর।’ ইংল্যান্ডে আগে আমার ব্যাটিং দেখেছিল সে।’ নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখা ইমরুল এখন এশিয়া কাপের চূড়ান্ত দলে থাকেন কিনা, সেটিই দেখার বিষয়।
×