ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শত থেকে সহস্রে ‘মুজিব মানে মুক্তি’

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০১৮

  শত থেকে সহস্রে ‘মুজিব মানে মুক্তি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবহমান বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, শোষণ, বঞ্চনা, দ্রোহ ও মুক্তির স্বপ্ন বির্নিমাণ নিয়েই নাটক ‘মুজিব মানে মুক্তি’। এতে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ধারাবাহিক ইতিহাসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, সংগ্রামী জীবন ও বেদনাবিধূর মহাপ্রয়াণের ঘটনা পরম্পরা এসেছে সময়ের প্রবাহমান ধারায়। লোকনাট্য দল প্রযোজিত এ নাটকটি গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, সুর সংযোজন ও নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। এ বছর আগস্ট মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চায়ন হচ্ছে নাটকটি। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেহ ভঙ্গিমার বিন্যাসে এবং নির্মাণে মঞ্চে কখনও সবুজ ধানের ক্ষেত, গ্রাম্য নৈস্বর্গ, ব্রিটিশ শাষণাকাল, দেশ ভাগ, ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ, পাক বাহিনীর নির্মমতা, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, স্বাধীন রাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর কর্মমুখর সময়, আন্তর্জাতিক মেলবন্ধন, ষড়যন্ত্র ও বিয়োগান্তক ঘটনা, শোক থেকে শক্তির পুনরুত্থান এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলার তেজঃদীপ্ত পদচারণা প্রভৃতি এতে ফুটে ওঠে যেন বাস্তবেরই আদলে। ওভার ভয়েসে সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় অর্ধশতাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীদের নান্দনিক কোরিওগ্রাফিতে নির্মিত দৃশ্যকল্পের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে নাটকটি। আগস্ট মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতেও কয়েকটি দলের প্রযোজনায় নাটকটি মঞ্চায়ন হবে ঢাকা, গাজীপুর, শ্রীপুর, ঝিনাইদহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলায়। লোকনাট্যদল প্রযোজিত এবং মঞ্চায়িত বঙ্গবন্ধুর জীবন আশ্রিত এবং প্রায় দুই শতাধিক মঞ্চায়ন ছুঁতে যাওয়া ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকটির ছয়টি দলের মঞ্চয়নের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলছে সারা দেশব্যাপী সহস্রতম মঞ্চায়নের অভিলক্ষে। লিয়াকত আলী লাকীর বিশ্বাস, নাটকে লোক শিক্ষা হয়। মুজিব মানে মুক্তি নাটকটি শুধু ইতিহাসের আত্মবিস্মৃতিকে নাড়া দেয় না বরং তা ফেলা আসা স্মৃতিকে নতুন ভাবে চিনিয়ে দেয়। সভ্যতার অগ্রযাত্রার স্বার্থে এই চেনা জানাটা জরুরী। বাংলাদেশের হৃদয়ের মর্মমূলের কথা বলে নাটক মুজিব মানে মুক্তি।
×