ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম

কোটা বাদ দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করতে যাচ্ছে কমিটি

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৭ আগস্ট ২০১৮

  কোটা বাদ দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করতে যাচ্ছে কমিটি

তপন বিশ্বাস ॥ সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি। উচ্চ আদালতের রায়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কোটা কিভাবে সংরক্ষণ হবে তা নির্বাহী বিভাগকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। আবার সরকারী চাকরিতে এই কোটা তুলে দেয়ার জন্য কমিটি আগেই ঘোষণা দিয়েছেন। বিগত ১৩ আগস্ট কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারী চাকরিতে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দিয়ে সুপারিশ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে কমিটি। এই পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স চাওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন। সরকারী চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মতামতে তিনি বলেছেন, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিগত দিনে যেভাবে সংরক্ষণ করে আসছে তাই অনুসরণ করতে হবে। তবে নির্বাহী বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে এ কোটা কীভাবে সংরক্ষণ করবে। বিগত ১৬ জুলাই এ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে মাতামত চেয়ে চিঠি দেয় কোটা বহাল, বাতিল ও সংস্কারের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি। ওই চিঠির জবাবে এ্যাটর্নি জেনারেল এই মতামত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে করণীয় কী হবে তা জানতে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স চাওয়া দরকার আছে কী না তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে আমরা বসব। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বৈঠকে বসে কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি কোটা সংস্কারের জন্য গঠিত কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিপালন করে আসছে সরকার। ২০১০ সালে খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক এবং সহকারী পরিদর্শক পদে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি এমন অভিযোগ করে গাজী শফিকুলসহ সাতজন চাকরি প্রত্যাশী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১২ সালে রিটকারীদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ওই রায়ে বলা হয় হয় সরকারী চাকরিতে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল করলে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল আপীল বিভাগের রায়ে বলা হয় সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। এছাড়া চাকরিতে সরকারের আইন অনুযায়ী ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অপরদিকে ২০১২ সালে খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জামালউদ্দিন শিকদার মুক্তিযোদ্ধা সরকারী কর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। ওই মামলার রায়ে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মামলাগুলো দায়ের এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আগ থেকেই সরকারী চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করে আসছে সরকার। এই মামলাগুলো সরাসরি সরকারের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে হয়নি। অর্থাৎ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) যেসব পদে জনবল নিয়োগ করে ওই সব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কত শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করতে হবে সেই বিষয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়নি। এই মামলাগুলোর একটি ছিল খাদ্য বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত। অপরটি ছিল মুক্তিযোদ্ধা সরকারী কর্মচারীদের অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত। সেই ক্ষেত্রে ওই মামলার পর্যবেক্ষণ পিএসির নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা না মানার বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত চাওয়ার পর তিনি বলেছেন, রায়ে যেভাবে বলা আছে সেই ভাবেই মানতে হবে। অর্থাৎ ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সরকারী, আধাসরকারী দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেশনে সরাসরি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করতে হবে। যদি সরকারী পদে জনবল নিয়োগের সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তা হলে ওই সব পদে সাধারণ কোটার জনবল নিয়োগ দেয়া যাবে না। বরং মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদগুলো অবশ্যই শূন্য রাখতে হবে। এমনকি বিভাগীয় পদসমূহে জনবল নিয়োগেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ্যাটর্নি জেনারেল এই ভাবেই কোটা অনুসরণ করতে বলেছেন। তবে কোটা কতদিন থাকবে, কিভাবে থাকবে তা নির্বাহী বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলেও মত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় মেধা কোটা থেকে তা পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই প্রজ্ঞাপন বলে বিগত দু’টি বিসিএসএ মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্য পদ মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হয়। মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই প্রজ্ঞাপন জারি করে। এদিকে রবিবার সচিবালয়ে কোটা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সচিব আবুল কাশেম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা এখনও পর্যালোচনার মধ্যে আছি। বিভিন্ন দেশের রিপোর্ট আমরা কোন কনক্রিট ডিসিশনে আসতে পারিনি। কোটা নিয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলের রিপোর্ট পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, কী কী দরকার সবকিছু তো পাইনি। যেটা যেটা পাচ্ছি, সেগুলো পর্যালোচনা করছি। কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখা যাক, এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আপনারা দেখেছেন পর পর কয়েকটি মিটিং আমরা করেছি। আপনারা কী এখন আদালতেরও মতামত নেবেন এ বিষয়ে সদস্য সচিব বলেন, দেখা যাক। আমাদের আরও অনেক রিপোর্ট বাকি আছে। কমিটির সদস্য ও সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সচিব আকতারী মমতাজ বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, কোন সিদ্ধান্ত আজ আসেনি। এদিকে গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কোটা সংস্কারে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রায় সব ধরনের কোটা তুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হচ্ছে। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কোটা তুলে দিয়ে মেধায় চলে যাওয়া। এখন সময় এসেছে আমরা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাব। তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কীভাবে মূল ধারায় আসবে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি তারা অগ্রসর হয়ে গেছেন। বর্তমানে সরকারী চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএস এবং নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ এবং উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত, কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধও করেন তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় আন্দোলনকারীদের। গ্রেফতারও হন আন্দোলনকারী অনেক শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না’। কোন কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। এর এক পর্যায়ে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে আহ্বায়ক করে কোটা বহাল, বাতিল ও সংস্কারের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস (তিন মাস) বাড়ানো হয়। বর্ধিত সময় আরও প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় রয়েছে কমিটির হাতে। রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কক্ষে দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসে কোটা পর্যালোচনা কমিটি। বৈঠক শেষ হয় দুপুর ২টায়। বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বিধি) ও কমিটির মুখপাত্র আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন এ কথা বলেন। এর আগে গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আমরা মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে অলমোস্ট (প্রায়) কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করব। তবে আদালতের একটা রায় রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে আদালতের মতামত চাইব, আদালত যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠিয়ে দেয় তবে এ কোটাও থাকবে না। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, এখনও পর্যালোচনার মধ্যে আছি। বিভিন্ন দেশের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি। কোন কনক্রিট ডিসিশনে আসতে পারিনি। কোটা নিয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলের রিপোর্ট পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, কী কী দরকার সবকিছু তো পাইনি। যেটা যেটা পাচ্ছি, সেগুলো পর্যালোচনা করছি। কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখা যাক, এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আপনারা দেখেছেন পর পর কয়েকটি মিটিং আমরা করেছি। এখন আদালতেরও মতামত নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে যুগ্ম-সচিব বলেন, দেখা যাক। আরও অনেক রিপোর্ট বাকি আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু হয়নি, এখনও চূড়ান্ত করতে পারিনি। কমিটির সদস্য ও সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সচিব আকতারী মমতাজ বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস (৩ মাস) বাড়ানো হয়। কোটা পর্যালোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন- লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারী কর্ম কমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
×