ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সঙ্কটে বিএনপি ॥ বৃহত্তর জোট গঠন নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৭ আগস্ট ২০১৮

নতুন সঙ্কটে বিএনপি ॥ বৃহত্তর জোট গঠন নিয়ে জটিলতা

শরীফুল ইসলাম ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটের বিপরীতে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন অগ্রসর হতে পারেনি বরং বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন নিয়ে নতুন সঙ্কটের মুখোমুখি বিএনপি। না পারছে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতকে সামাল দিতে আবার না পারছে যুক্তফ্রন্টভুক্ত নতুন ৫ রাজনৈতিক দলের ইচ্ছে পূরণ করতে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট হবে কিনা এ নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চিয়তা। তবে এমন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনে এখনও আশাবাদী বিএনপি। তাই দলের নেতারা দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন। সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার আগে থেকেই বৃহত্তর নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার দেয়া হয় ইমেজ সম্পন্ন নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত পাঁচটি রাজনৈতিক দলকে। এ পাঁচটি দল হচ্ছে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা, প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, বঙ্গবীরখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, স্বাধীনতা সংগ্রামকালের চার বিশিষ্ট ছাত্রনেতার অন্যতম আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জাসদ এবং সাবেক ঢাকসু ও চাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য। এ ছাড়াও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলকেও নতুন নির্বাচনী জোটে ভেড়াতে চায় বিএনপি। তবে তা করতে গিয়ে নতুন নতুন সমস্যা চলে আসে বিএনপির সামনে। বিএনপির নেতৃত্বে নতুন নির্বাচনী জোটে আসতে আগ্রহী ইমেজ সম্পন্ন পাঁচ দলের মধ্যে কোন কোন দলের পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হয় ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতকে রাখা যাবে না। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলের নেতাদের মামলা প্রত্যাহার কিংবা মুক্তির দাবি নিয়ে কোন কর্মসূচী দেয়া যাবে না, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী করা যাবে না এবং ৫ দলকে ৩০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে হবে। ৫ দলের শর্তগুলো নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করে। তবে বিএনপির একটি অংশ চায় জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও ইমেজ সম্পন্ন নতুন পাঁচটি রাজনৈতিক দলকে জোটে টানতে। তাদের যুক্তি জামায়াতকে বাদ দিয়ে এই পাঁচ রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক জোটে টানলে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। তবে দলের অপর অংশ মনে করছে এ পাঁচটি দলের রাজনৈতিক ইমেজ জামায়াতের চেয়ে ভাল হলেও সারাদেশে এ পাঁচটি দলের এক শতাংশও ভোট নেই। তাই ভোটের রাজনীতিতে এই পাঁচ দল বিএনপির জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে পারবে না। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতকে উপেক্ষা করে জোট সম্প্রসারণ করলে জামায়াত ক্ষুব্ধ হতে পারে। এ ছাড়া নতুন পাঁচটি দলকে ১০০ আসন ছেড়ে দিলে বিএনপির যেসব ত্যাগী নেতা মনোনয়নবঞ্চিত হবেন তারাও নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন প্রক্রিয়ায় বাগড়া দেবে। এ পরিস্থিতিতে নতুন নির্বাচনী জোট ঘোষণার বিষয়ে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শরণাপন্ন হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তারেক রহমান এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তাই এ বিষয়ে নির্দেশনা নিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছুটে যান কারাবন্দী খালেদা জিয়ার কাছে। বিএনপি মহাসচিবকে দল ও জোটের ঐক্য ঠিক রেখে বৃহত্তর ঐক্য অর্থাৎ নতুন নির্বাচনী জোট গঠনের নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। এ পরিস্থিতিতে যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই তাই কৌশলে তাদের নির্বাচনী জোটের বাইরে রেখে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া যায় কিনা সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে জামায়াত স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে পারবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে বিএনপির সঙ্গে নতুন নির্বাচনী জোটে আসতে আগ্রহী ৫ রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন কোন দল তলে তলে সরকারী দলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। তারা মনে করছে, বিএনপির কাছে পাঁচ দল ১০০ আসন দাবি করলে বিএনপি ১০০ আসনই ছেড়ে দিতে রাজি আছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে ১০০ আসনের মধ্যে খুব কম আসনেই তারা বিজয়ী হতে পারবে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করলে কম আসনে নির্বাচন করলেও বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর এ জন্যই পাঁচ দলও নতুন রাজনৈতিক জোট করার বিষয়ে এখনও দোটানায় আছে। অবশ্য এই পাঁচ রাজনৈতিক দলকে বিএনপি যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সেভাবে দিচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ ডাকলে খুশি মনেই এই পাঁচ দল চলে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ২০ দলীয় জোটে বিএনপির শরিক জামায়াত মনে করছে নির্বাচনী জোটে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল এলে জোটে তাদের আধিপত্য খর্ব হবে। কারণ, বর্তমানে এ জোটের ডজনখানেক দল বিভিন্নভাবে জামায়াতের সরাসরি সহযোগিতা পেয়ে থাকে। তাই জোটে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জামায়াত যা চায় তারা সেটাই সমর্থন করে। তাই অনেক সময় জোটে বিএনপির ইচ্ছের চেয়ে জামায়াতের ইচ্ছেই প্রাধান্য পায়। কিন্তু অধিকতর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের দল জোটে এলে জামায়াতের কোন গুরুত্ব থাকবে না। ভোটব্যাংক ও রাজপথের শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতকে চটাতে চায় না বিএনপি। আবার নতুন করে জোটে ভিড়তে চাওয়া রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য এর ইমেজের বিষয়টিকেও এড়িয়ে যেতে পারছে না বিএনপি। তাই বৃহত্তর নির্বাচনী জোট গঠনের বিষয়টি নিয়ে নানান হিসাব-নিকাশ করছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে দেশে জামায়াতের ভোট রয়েছে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। আর এ ভোটব্যাংকের কারণে বিএনপি জোটে জামায়াত থাকলে ভোটের রাজনীতিতে তারা একটি বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ছাড়া মাঠের রাজনীতিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অনেক সক্রিয়। জোটগত যে কোন নির্বাচনে দেখা যায় বিএনপির আগে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রের আশপাশে গিয়ে অবস্থান করে। এতে বিএনপি অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। জোটে জামায়াত না থাকলে এ সুবিধাটা পাবে না বিএনপি। তাই জামায়াতকে পাশ কাটিয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। আবার জামায়াতকে নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন পাঁচটি রাজনৈতিক দলকে জোটে ভেড়ানো গেলে এ জোটের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। তবে এই পাঁচ দলের সারাদেশে এক শতাংশ ভোটও নেই। তাই বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে গিয়ে বিএনপি নতুন সঙ্কটে পড়েছে। গত ক’বছর ধরেই বিএনপির সঙ্গে তাদের দীর্ঘকালের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতের মনকষাকষি চলছে। তবুও বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে কেউ কাউকে দূরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে না বরং গোপন বৈঠকের মাধ্যমে পরস্পরের দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র-কাউন্সিলর পদ নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় বিএনপির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সিলেটে বিএনপির বিপরীতে মেয়র প্রার্থী দেয় জামায়াত। তার পরও সিলেটে মেয়র পদে বিজয়ী হয় বিএনপি। আর এ বিজয়ের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে জামায়াত ছাড়া নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করে বিএনপির একটি অংশ। অবশ্য বিএনপির তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অধিকাংশই আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে জোটের বাইরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর চারদলীয় জোটের শরিক দল বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার দাবি করে। বিশেষ করে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের পরাজয়ের জন্য জামায়াতকে দায়ী করে চারদলীয় জোট থেকে এ দলকে বাদ দেয়ার জোর দাবি জানায়। কিন্তু ভোটব্যাংক ও মাঠের আন্দোলনের কথা চিন্তা করে জমায়াত ছাড়ার চিন্তাও করেনি বিএনপি হাইকমান্ড। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০০ সালের শেষ দিকে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট গঠন করা হয়। এতে বিএনপির সঙ্গে স্থান পায় জামায়াত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোট। এর পর জোটের পরিধি বৃদ্ধি করে ১৮ দলীয় জোট গঠন করা হয়। পরে আরও দুইটি দলকে নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর জামাতকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে বিএনপি। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়। এ নিয়ে তখনই বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এক পর্যায়ে দলের স্বার্থে চুপ হয়ে যান তারা। সূত্রমতে, জাতীয় ঐক্য নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর গণফোরাম সভাপতি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাজধানীতে যে সমাবেশ করতে যাচ্ছেন তাও বিএনপির বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ। এ সমাবেশ সফল করার বিষয়ে বিভিন্নভাবে বিএনপি সহযোগিতা করছে। ড. কামালের ঐক্যের মূল স্লোগান অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি। যা বিএনপিরও দাবি। এছাড়া ড. কামাল চান আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন যা বিএনপিও চায়। এসব বিষয় নিয়ে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। সমাবেশকে সফল করতে শীর্ঘই বিএনপিসহ সমমনা সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. কামাল হোসেন। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্যের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। একটি অবাধ, সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সব দলকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতৃত্বে বৃহত্তর নির্বাচনী জোট গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। যারা মানুষ ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে চায় এমন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিএনপির সঙ্গে জোট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সুবিধাজনক সময়ে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে দেশবাসীকে জানানো হবে। সম্প্রতি দলীয় এক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, এ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনারা তৈরি থাকুন। জনগণের অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্য হচ্ছে। ওই ঐক্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তির ডাক আসবে। জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তফ্রন্টভুক্ত এক দলের একজন সিনিয়র নেতা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বৃহত্তর নির্বাচনী জোট গঠনের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। তবে এ জোট গঠনের আগে বিএনপির কাছে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। দু’একটি শর্ত নিয়ে বিএনপি এখনও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি। তাই বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। বিএনপি শর্ত মেনে নিলে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।
×