ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৭ আগস্ট ২০১৮

তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়

তিনি ছিলেন বাঙালী অন্তঃপ্রাণ। ‘বাংলার ঘরে ঘরে যত ভাই-বোন, এক হোক’- রবীন্দ্রনাথের ভাবনাকে মূর্ত করার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত। বাঙালীর ভাষা, বাঙালীর আশাকে তিনি ধারণ করেছিলেন নিজ বুকে। এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বটাকে। তাই ১৯৭৩ সালের ত্রিশে মে ব্যক্তিগত ডায়েরিতে ইংরেজীতে লিখেছিলেন, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রীও, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালী হিসেবে যা কিছু বাঙালীদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, যে ভালবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ (অনুবাদ)। নিজেকে চিনেছিলেন তিনি এভাবে সত্যসন্ধ হিসেবেই। আত্মোপলব্ধির গভীরতায় তিনি তুলে এনেছিলেন মানবপ্রেম। সমগ্র মানবের মাঝে তিনি বাঙালীকে ঠাঁই দিতে চেয়েছিলেন। বিশ্ব মানবের স্তরে বাঙালীর উত্তরণ ঘটিয়েছিলেন বৈকি। সহস্র বছরের নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, চালচুলোহীন, দরিদ্র, হতদরিদ্র, কাঙাল, মানবেতর জীবনে অভ্যস্ত বাঙালীর মধ্যে সঞ্চার করেছিলেন প্রাণ। করুণ ক্রন্দন মথিত জীবনে যুগিয়েছিলেন মানুষের মতো বেঁচে থাকার সাহস। শ্রমে, কর্মে, নিষ্ঠায় হতশ্রী বাঙালীকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। বাঙালীকে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় পরিচিত করার নেপথ্যে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। রাজনীতির বিশাল কর্মযজ্ঞে সমর্পিত করেছিলেন নিজেকে বাঙালীর স্বাধীনসত্তাকে বিকশিত করারই লক্ষ্যে। আন্দোলন, সংগ্রাম, জেল, জুলুম আর নিপীড়নের ভেতর দিয়ে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন। পরিণত হয়েছিলেন বাঙালীর জাতির পিতা হিসেবে। কোন রক্তচক্ষু তাকে শাসাতে পারেনি। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক কর্মী তার দেশপ্রেমিক প্রতিশ্রুতি আর ফলপ্রসূ কর্ম দিয়েই জনগণের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারে। সংগঠন তার জন্য সে সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। সেই পথ ধরেই তিনি তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন রাজনৈতিক দল। এটা তো বাস্তব যে, একটি রাজনৈতিক দল- মনে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক সচেতন সম্প্রদায়। তার কর্মপ্রয়াস ও বিশ্বস্ততার মধ্য দিয়েই সমাজের গভীরে জনগণের হৃদয়ে সে নিজের জন্য স্থায়ী আসন তৈরি করে নেয়। এই বাংলায় নিজের কর্ম আর জনগণের বিশ্বস্ততার সফল সমন্বয় ঘটেছে হাজার বছরের ইতিহাসে মাত্র একটি মানুষের জীবনে। দল নয়, সম্প্রদায় নয়- একজন ব্যক্তি মানুষ সব ছাপিয়ে তার কর্ম ও কীর্তি দিয়ে গড়েছেন ইতিহাস। তিনিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সমর্থক, তাঁর সমালোচক, তার বিরুদ্ধবাদী সকলেই অন্তত তার অবদানের স্বীকৃতি দিতে কুণ্ঠিত নন। রাজনীতির যে প্রাতিষ্ঠানিক আবেদন সমাজ জীবনে সব মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে। তিনি একটি জাতির ইতিহাসে তাকে যতটা সম্ভব মূর্ত করে তুলেছেন নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে। তিনি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন নতুন নতুন রাজনৈতিক সাফল্যের বিজয়স্তম্ভ সাজিয়ে। কিন্তু সে প্রতিষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি সহযোগীদের ব্যথতার কারণে। কোন মানুষই চিরজীবী হন না। বঙ্গবন্ধুও সশরীরে আর নেই। খুনী কাপুরুষের ঘৃণ্য হত্যাকা- তাঁকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের মাঝপথ থেকে। ব্যর্থতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। ঘাতকের প্রাণসংহারী মারণাস্ত্র তাঁকে দিয়েছে অমরত্ব। বাঙালী জাতির স্বাধীনতা আর মুক্তি সংগ্রামের ভেতর তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। তিনি যা রেখে গেলেন তার ভবিষ্যত বিকাশ তো নির্ভর করছে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও তাঁর অনুসারীদের সাফল্যের উপর। বঙ্গবন্ধু কি রাজনৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব বা ক্ষমতা দখলের উপায়, নাকি তার কর্মকীর্তি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের পাথেয়- এই মৌলিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আগামী দিনের সাফল্য বা ব্যর্থতা। কিন্তু তার জীবন ও কর্মের মূল্যায়ন আজও হয়নি। যেমন হয়নি বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন ও কর্মধারা, তাঁর দর্শন, মতবাদ, দেশ শাসন নিয়ে কোন বিশ্লেষণ বা গবেষণা। তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচীর রাজনৈতিক অধ্যায় নিয়ে বহু সমালোচনা হলেও এর অর্থনৈতিক, সামাজিক কর্মসূচী নিয়ে ন্যূনতম আলোচনা বা সমালোচনা কোনটাই হয়নি। তাঁর এই দর্শন অনালোচিতই রয়ে গেল। তাঁর সহকর্মী, অনুসারী কেউই এ বিষয়ে আলোকপাত করতে এগিয়ে আসেননি। বরং বিরুদ্ধবাদীদের সমালোচনার শিকার হতে পারেন এই ভয়ে নীরবই রয়ে গেছেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী নিয়ে কোন গুরুত্ববহ গবেষণা হয়নি। কেবল বঙ্গবন্ধুর এক আত্মীয় ডক্টর সেলিমুজ্জামান বাকশাল নিয়ে পিএইচডি করেছেন বিদেশী এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেই গবেষণাও এদেশে অপ্রকাশিত থেকে গেছে। বাঙালীর জীবনের সবচেয়ে বড় অধ্যায় বঙ্গবন্ধু। তাঁর কর্ম ও কীর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের পরিণতি ও আগামী জীবনের অনন্ত সময়ের বিবর্তন। অথচ আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার মৌলিক দায়িত্ব পালন করছেন না কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ কাজে এগিয়ে আসেনি। তারা স্বউদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন কাজে আগ্রহী হননি। যদিও বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে, ছাত্রাবাসের নামকরণ হয়েছে। এমনকি দেশে বহু স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু কেবলই সেতু, ছাত্রাবাস, সড়ক, ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছেন। কিন্তু এসব ছাপিয়ে তিনি তো পুরো বাংলাদেশ। এ দেশের প্রতিটি ইঞ্চির প্রতিটি ধূলিকণার মাঝে তিনি মিশে আছেন। বাংলাদেশের পতাকায় ভেসে আসে তার মুখ। মানচিত্র জুড়েও তিনি। তাকে কোন কিছুতেই সীমাবদ্ধ করে রাখা যায় না। নিষিদ্ধ করাও সম্ভব হয় না। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক জান্তা ও নির্বাচিত শাসকরা তাঁর নামোচ্চারণ নিষিদ্ধ করেছিল। ইতিহাসসহ সব স্থাপনা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল তাঁর নাম। কিন্তু তা বেশিদিন সম্ভব হয়নি। সব দুর্ভেদ্য অন্ধকার ভেদ করে তিনি আলোকিত হয়ে উঠছেন ক্রমাগত। কেউ তাঁকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। তিনি জেগে উঠছেন বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের পথ ধরে। বাঙালীকে দিয়েছেন বিশালত্ব, কিন্তু বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু পেয়েছেন গুলি, রক্ত। তারপরও মৃত্যুহীন প্রাণ হয়ে তিনি জেগে আছেন বাঙালীর হৃদয় ও মননে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে বাজারে বহু বই পাওয়া যায়। অধিকাংশ লেখকই অজ্ঞাতকুলশীল। সেসব লেখায় বঙ্গবন্ধুকে পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায়, তা চর্বিত চর্বণ। মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ কিছুই নেই। এক বই থেকে যেন শত বই লেখা হয়েছে। সন, তারিখ, কর্মসূচী অভ্রান্ত নয়। এসব গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুকে পাওয়া যায় না। অনেক বই পাঠে মনে হয়েছে, এগুলো বাতিল করা উচিত। যারা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর, তারা স্মৃতিচারণ লিখতেও এগিয়ে আসেননি। তার হাতে গড়া রাজনীতিকরাও এক্ষেত্রে কৃপণতাই দেখিয়ে এসেছেন। যদি লিখতেন তারা, তবে বঙ্গবন্ধু ও সমকালীন ইতিহাসের অনেক তথ্যই পাওয়া যেত। আর তা যায়নি বলেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মিথ্যাচার, নিন্দামন্দ বেশি হয়েছে। অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন তিনি সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে তিনি বেরিয়ে এসেছেন আলোকিত মানুষ হিসেবেই। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তাঁর কর্মময় ঘটনাবলীর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পেতে হলে আগামী দিনে আশ্রয় নিতে হবে অশেষ কষ্টকর গবেষণার ওপর। তাতেও হয়ত পরিপূর্ণতা অর্জন করা যাবে না এ বিষয়ে। কারণ ততদিনে তথ্য ও সূত্রের অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলবে তার অবিকল অবয়ব। যেমন হারিয়ে গেছে তাঁর সহকর্মী, সহযোগীরা। যথাসময়ে কাজ করা গেলে অনেক উজ্জ্বল দিক পাওয়া যেত। অনুসারীরা নির্বিকার, পেয়েছেন যারা তাঁর সাহচর্য। বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ তিন দফায় ক্ষমতায় থাকলেও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণার কাজে এগিয়ে আসেনি। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নানা বিষয়ে বৃত্তি দিয়ে থাকে গবেষণা কাজে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষণার কোন উদ্যোগ নেয় না। এমনকি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্ট বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণার প্রতি দৃষ্টি দেয় না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পূর্বাপর সময়ে তার সহকর্মী, জেলা নেতা, ভক্ত, অনুরাগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের কাছে চিঠি লিখতেন। সেসব চিঠিপত্র উদ্ধারে কোন পদক্ষেপও নেয়নি। বঙ্গবন্ধুর নামে সহস্র সংগঠন রয়েছে যারা জন্ম ও শোক দিবস পালনেই নিজেদের সীমিত রেখেছে। এর বাইরে অন্য কোন কাজে তারা সম্পৃক্ত নন। ‘ওরাল হিস্ট্রির’ যুগে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে যারা এসেছিলেন তাদের ভাষ্য গ্রহণে কারও পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগে নেয়া হয়নি। এমনকি বাংলা একাডেমীও নয়। অথচ গণমানুষের ভাষ্য নিয়ে ইতিহাস লেখা হলে বাঙালী পেত তাদের মুক্তিদাতার বিশালত্বকে; যা অনুপ্রাণিত করত আগামীর পথযাত্রায়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের সঠিক সংরক্ষণের প্রচেষ্টা আজও অনুপস্থিত। তার সহকর্মী, সংগঠন, সরকার, ব্যক্তির পক্ষ থেকে তেমন উদ্যোগ গ্রহণ সুদূর পরাহত। ফলে তাকে কেন্দ্র করে বায়বীয় ও কল্পনামিশ্রিত উপন্যাসও লেখা হয়েছে। যাতে শেখ মুজিব যথাযথভাবে উঠে আসেননি। বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং প্রকাশিতব্য আরও কয়েকটি গ্রন্থে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা মানবকে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার সময়কাল ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতার স্বার্থে গবেষণা যে জরুরী, তা কারও উপলব্ধিতে আসে না। বরং বঙ্গবন্ধুর ছবি ক্ষুদ্রাকারে বিলবোর্ডে ছাপিয়ে নিজেকে জাহির করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ বা বৈরী ও মিথ্যাচারে ভরা সমালোচনাপূর্ণ প্রকাশনা দিয়ে ব্যবসায়িক ফন্দিফিকির আজও চলছে। তেমনি তাঁর নামে ধান্দাবাজির অজস্র সংগঠনও গড়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু তাঁর জীবন ও কর্মের সঠিক উপস্থাপনার কাজটি কেউ করছেন না। ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁর কর্মময় জীবনের ঘটনাবলীও বিভিন্ন কর্মকা-ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহও প্রায় অসম্ভব। শেখ মুজিব সম্পর্কিত বিদ্বজ্জনদের অপপ্রচারের বিপরীতে কিছুই লেখা হচ্ছে না। অথচ এসব অপপ্রচার জনমানসে গ্রোথিত করা হয়েছে এমনভাবে যে, অনেক বাঙালী মনে করে শেখ মুজিব পাকিস্তান নামক ইসলামী রাষ্ট্রটি ভেঙ্গেছেন জাতীয় অসত্য উবাচ। শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু নন, নন কোন ছাত্রাবাস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তিনি মূলত সমগ্র বাংলাদেশ। এই বাঙালীর আদর্শ আসলে কি, তা জানা না গেলে সকলই ধূলায় হবে লীন। বাঙালী হারাবে তার স্বাধীনতার সুফল। পাকিস্তানী ও জঙ্গী মানসিকতামুক্ত দেশ গড়তে হলে সর্বাগ্রে জানা প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুকে। তার জীবন ও কর্মের আলোকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার ব্রতে উজ্জীবিত করার বিকল্প নেই। যতই চাপিয়ে রাখা হোক, বঙ্গবন্ধু জেগে উঠবেন- রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়, তোমারই হোক জয়’- এই জয়গানে।
×