ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৭ আগস্ট ২০১৮

ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৬ আগস্ট ॥ জামালপুর পপুলার হাসপাতাল (প্রাঃ) নামের একটি ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কা- ঘটেছে। প্রসূতির বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিকের এক কর্মীকে গণধোলাই দিয়েছে। রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ক্লিনিকটির মালিক ও ম্যানেজারসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযোগে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ফুলকোচা গ্রামের ইসমাইল হোসেন আনন্দ তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দোলনা বেগম সুখীকে (২৪) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পপুলার ক্লিনিকে ভর্তি করান। ভোরে ক্লিনিকটির ম্যানেজার বা মালিক পক্ষের দায়িত্বশীল কেউ না থাকলেও কর্তব্যরত প্যাথলজিস্ট আমিনুর রহমান ও দুইজন নার্স প্রসূতিকে ভর্তি করেন। তারা প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করলে প্রসূতির স্বামী ইসমাইল হোসেন ১ হাজার ৩০০ টাকা জমা দিয়ে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করতে বলেন। এ সময় প্যাথলজিস্ট আমিনুর রহমান ও নার্সরা প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। তারা প্রসূতির রক্তও নেন। প্রথমে তারা স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ভোর ৬টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এসে তারা প্রসূতির স্বজনদের জানায়, ডাক্তার ডাকতে যাচ্ছি। এ সময় প্রসূতির স্বজনদের সন্দেহ হলে অন্য ক্লিনিকে যেতে চাইলে প্যাথলজিস্ট আমিনুর রহমান ও এক্স-রে অপারেটর আরিফ রোগী নিয়ে যেতে হলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে প্রসূতি কি অবস্থায় আছে তাও জানতে দেয়া হয়নি তাদেরকে। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে প্রসূতির অস্ত্রোপচার করলে মৃত মেয়ে বাচ্চা প্রসব হয়। এ নিয়ে প্রসূতির স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা অভিযোগ তোলেন, ডাক্তার ক্লিনিকে আসার আগেই স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলে পেটেই নবজাতক মারা গেছে। এরপর থেকে ভোরে কর্তব্যরত প্যাথলজিস্ট আমিনুর রহমান ও এক্স-রে অপারেটরসহ ক্লিনিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দেন। এদিকে ভোরে কর্তব্যরত এক্স-রে অপারেটর আরিফ বেলা দেড়টার দিকে ক্লিনিকে ফিরে এলে প্রসূতির লোকজন তাকে চিনতে পেরে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
×