ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগৃহীত হয়নি

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৮

  মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগৃহীত হয়নি

সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা ॥ মাগুরায় আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ীরা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগ্রহ করতে পারেনি। ৫০ হাজার চামড়ার স্থলে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ২০ হাজার চামড়া। এ বছর গরুর চামড়া প্রকারভেদে মাত্র ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং খাসির চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অধিক দামের আশায় চামড়া বাড়িতে লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, জেলায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার গরু ছাগল কোরবানি দেয়া হয়েছে। আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ীরা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়া ও সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে জেলায় এ বছর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংকটকে দায়ী করেছেন। চামড়া ব্যবসায়ী রাজু খান জানান, তার ট্যানারি মালিকদের কাছে ২২ লাখ টাকা বকেয়া থাকলেও ট্যানারি মালিকরা কোন টাকা দেয়নি। ৫ হাজার চামড়া ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তিনি ক্রয় করেছেন মাত্র এক হাজার চামড়া। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেন, চামড়ার কোন দাম নেই। তারা বেশি দামে চামড়া ক্রয় করে বিক্রি করতে গিয়ে এ বছরও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গত বছর গরুর যে চামড়া এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই চামড়া এবার ৩শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চামড়ার আড়তদাররা বলেছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে গত বছরের চামড়ার বকেয়া পাওনা পাননি। পুঁজি সংকট রয়েছে। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অধিকদামের আশায় চামড়া বাড়িতে লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছেন। আড়তদার প্রতিটি গরুর চামড়া প্রকারভেদে ৭শ’ থেকে ৯শ’ টাকা এবং খাসির চামড়া ৫০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে ক্রয় করছেন বলে দাবি করলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। চামড়া আড়ত ম্যানেজার মোঃ নুরুল মোল্লা জানান, ৬২ লাখ টাকা বকেয়া থাকলেও ট্যানারি মালিকরা বকেয়া দিয়েছেন মাত্র ১২ লাখ টাকা । ফলে টাকার অভাবে পর্যাপ্ত চামড়া ক্রয় করতে পারেনি।
×