ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ব্যস্ততা

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৭ আগস্ট ২০১৮

 ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ব্যস্ততা

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ ঈদ উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর দেশের সর্ববৃহত্তম বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এতে বন্দরে কর্মজীবী মানুষের মধ্যে আবারও ফিরে এসেছে ব্যস্ততা। রবিবার দুপুর ১টা থেকে আমদানি-রফতানি শুরুর পর যথারীতি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বন্দর। আমদানি পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিএ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স অফিস খুলেছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, ছুটি শেষে কাস্টমস হাউসের প্রতিটি শাখায় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা কিছুটা বেড়েছে। তিনি আরও জানান, দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় এ পথে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ৪০টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। চলছে রফতানি বাণিজ্যও। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারী ছুটি শেষে স্বাভাবিক বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বন্দরে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অনেক। স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে এ বন্দর দিয়ে। এ পথে পণ্য পরিবহন খরচও কম। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। রফতানি হয় ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য।
×