ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্মজীবীরা ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৬ আগস্ট ২০১৮

 কর্মজীবীরা ফিরতে শুরু  করেছেন রাজধানীতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ কাটিয়ে দলে দলে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। আজ রবিবার থেকে খুলছে সরকারী অফিস। তাই চাপ বেড়েছে নৌ-সড়ক ও রেলপথে। তবে মাত্রা ছাড়ায়নি। অনেকেই বলছেন, রাজধানী জমে ওঠতে আরও সময় লাগবে। যারা আসছেন তাদের অনেকেই একা। পরিবার পরিজন রেখে আসছেন গ্রামের বাড়িতে। এদিকে ঈদের আমেজ এখনও গোটা রাজধানীজুড়ে। ফাঁকা সড়ক। ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নেই। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আছে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়। রাজধানীর তিন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার যতটা যাত্রী ফিরবেন বলে তারা আশা করা গেছিল, ততটা ফেরেননি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেশ। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও ভিড় আছে। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, সকালে আসা বাসগুলো যাত্রী পরিপূর্ণ ছিল না। এখন সবগুলো বাস যাত্রী পরিপূর্ণ। তিনি জানান, শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচল বিঘিœত হওয়ায় যানবাহনের চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে ঢাকামুখী গাড়িগুলোকে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম বলেন, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল থেকে যে বাসগুলো ছেড়ে আসছে, সেগুলোতেও যাত্রী চাপ বেশি নেই। তবে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশেরগঞ্জ রুটের বাসগুলোতে যাত্রী আছে। কিন্তু ঠিক যত যাত্রী ফিরবেন বলে আশা করছিলাম, শনিবার অতটা ফেরেননি। তিনি জানান, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা, গাজীপুরের ভোগড়া, চন্দ্রাতে ঢাকামুখী গাড়িগুলোকে যানজটে পড়ে থাকতে হয়েছে। তাছাড়া গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী রেলগেইট এলাকা পেরুতেও বেশ সময় লাগছে। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শনিবার যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা পড়েনি। আজ রাতের দিকে হয়ত পড়তে পারে। তবে আজ অনেক চাপ বাড়বে। সদরঘাটে চাপ বাড়েনি ॥ বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা জানান, শনিবার বিকেল অবধি সদরঘাটে ঢাকা ফেরত যাত্রীর খুব বেশি চাপ ছিল না। দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট বড় ৮১টি লঞ্চ ভিড়েছে সদরঘাটে। ঢাকা ছেড়ে গেছে ৩০টি লঞ্চ। রেলে ফের সূচী বিপর্যয় ॥ ঈদ-উল-আজহার আগে রেলের সূচীতে যে বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল, ঈদের বিরতির পর সেই একই চিত্র দেখা গেল শনিবার। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টেশন মাস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন এসেছে কমলাপুর স্টেশনে। তার মধ্যে সূচী বিপর্যয়ে পড়েছে নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি স্পেশাল ট্রেনগুলো। নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এবং একতা এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরি করে প্ল্যাটফর্মে এসেছে। লালমনি স্পেশাল সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টায়ও সেই ট্রেন ছাড়েনি। রাজশাহীগামী সিল্ক সিটি সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা, কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টায়ও ছাড়েনি। নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা জানান, বিকেল ৪টার পর থেকে শনিবার রাত অবধি আরও ১২টি ট্রেন আসবে কমলাপুরে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফিরতি পথে যাত্রীদের সুবিধার জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটির কর্মীদের ছুটি আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
×