ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী টানেলের মূল কাজ শুরু হবে অক্টোবরের শেষে

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৬ আগস্ট ২০১৮

 কর্ণফুলী টানেলের মূল কাজ শুরু হবে অক্টোবরের শেষে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ‘ওয়ান সিটি এ্যান্ড টু টাউন’ মডেলের আদলে আগামী অক্টোবরের শেষার্ধে চট্টগ্রামে দেশের প্রথম টানেল কর্ণফুলী টানেলের মূল খনন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ টানেল নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, টানেলের বোরিং কাজের মেশিন (টিবিএম) ইতোমধ্যে চীন থেকে এসে গেছে। এ মেশিন চালুর প্রস্তুতি কার্যক্রম চলছে। তিনি জানিয়েছেন, খনন কাজের আগে আনুষঙ্গিক কর্মের প্রায় ২৪ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নির্দিষ্ট স্থানে টানেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সিটি প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। মন্ত্রী জানান, চীনের সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন মডেলে নির্মিত হবে কর্ণফুলী টানেল। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টানেল নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কর্মকা- শুরু হয়েছে। কাজ শেষ করার জন্য সময় ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। তিনি বলেন, প্রকল্পের শুরুতে অর্থায়ন নিয়ে আমরা বার বার হোঁচট খেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে কোন সমস্যা নেই এই টানেল নির্মাণের প্রক্রিয়ায়। তিনি জানান, এ প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দেয়া হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট অর্থ দিচ্ছে চীন সরকার। চার লেনের ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই টানেল নির্মিত হবে দুই টিউব সংবলিত। টানেলের পূর্ব-পশ্চিম প্রান্তে হবে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। মন্ত্রী জানান, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তিসহ সাত উদ্দেশ্য নিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চার লেনের সড়ক টানেল নির্মাণ হবে। ৭২৭ মিটারের একটি ওভারব্রিজ কর্ণফুলীর দক্ষিণ পারে আনোয়ারা উপজেলাকে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। মূল টানেলের নির্মাণ ব্যয় শতভাগ চীন সরকার বহন করবে। ইতোমধ্যে ৩৮৩ একর জমির মধ্যে ২৩২ একর অধিগ্রহণ করে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (সিসিসিসি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
×