ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড

হকিতে আজ জয় প্রত্যাশা বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৬ আগস্ট ২০১৮

হকিতে আজ জয় প্রত্যাশা বাংলাদেশের

রুমেল খান ॥ নিজেদের সীমিত সামর্থ্য এবং কঠিন বাস্তবতা মাথায় রেখেই ইন্দোনেশিয়া যাবার আগেই বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দল বলে গিয়েছিল সেই কথাটি, ‘এবারের এশিয়ান গেমসে আমরা কমপক্ষে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করতে চাই।’ সেই লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত বেশ ভালভাবেই আছে গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তির শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পঞ্চম স্থানের লড়াইয়ে টিকে আছে। তবে গ্রুপের (‘বি’) শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে হকির আরেক পরাশক্তি পাকিস্তানকে। ওই ম্যাচটি হবে ২৮ আগস্ট। পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতাটা বলতে গেলে অসম্ভবই। এটা মাথায় রেখেই তাই পাকিদের বিপক্ষে কম গোল হজমের লক্ষ্য স্থির করেছে টিম বাংলাদেশ। তবে একটা ম্যাচ একটু চেষ্টা করলেই জিততে পারে তারা। আর সেই ম্যাচটিই অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার। গেলোরা বাং কারনো স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে থাইল্যান্ড। আজকের এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে বেশ আত্মবিশ্বাসী। কারণ র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে তারা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১৬ ধাপ এগিয়ে (বাংলাদেশ ৩১, থাইল্যান্ড ৪৭)। এ পর্যন্ত ‘বি’ গ্রুপে ছয় দলের মধ্যে বাংলাদেশ আছে তৃতীয় অবস্থানে। ৩ খেলার ২টিতে জিতেছে। হেরেছে ১ ম্যাচে। পয়েন্ট ৬। তারা ০-৭ গোলে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ার কাছে। আর জেতে ২-১ গোলে ওমানকে এবং ৬-১ গোলে কাজাখস্তানকে হারিয়ে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আছে মালয়েশিয়া এবং পাকিস্তান। তবে গোল পার্থক্যে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ দলের কোচ গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তি আজকের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় নিয়ে টার্ফ ছাড়তে চান। পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলে অবশ্য বাংলাদেশকে একধাপ নিচে নেমে যেতে হবে। তখন খেলতে হবে ষষ্ঠ হওয়ার জন্য যেটা বাংলাদেশের প্রত্যাশিত। এশিয়ান গেমসের আগে চলেছিল হকি দলের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শেষভাগে প্রতিপক্ষের কৌশল-সামর্থ্য নিয়ে চলেছিল কোচ গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তির বিশ্লেষণ। প্রতিপক্ষের ছক মাথায় রেখেই প্রস্তুতি সেরেছিলেন জিমি-চয়নরা। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে উন্নতি এলেও জিমিদের ফিটনেস নিয়ে পুরো সন্তুষ্ট ছিলেন না কোচ। এশিয়ান গেমসের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ছিল না কোন উল্লেখযোগ্য অর্জন। তবে সময়ের সঙ্গে দ্রুত উন্নতি এসেছিল পারফর্মেন্সে। নতুন কোচের (অবশ্য এর আগেও স্বল্পমেয়াদে একবার কোচ ছিলেন বাংলাদেশ দলের) অধীনে পালটে যায় জিমিদের বডি ল্যাংগুয়েজ। সময়ের সঙ্গে উন্নতি করেছেন জিমি-চয়নরা। তবে এশিয়ান গেমসের পরিসর বিবেচনায় সন্তুষ্ট নন কোচ কৃষ্ণমূর্তি। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে পরিবর্তন এলেও তবে ফিটনেস নিয়ে হতাশা আছে লাল-সবুজ কোচের। দল গোছানোর জন্য মাত্র দুই মাস সময় পান তিনি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এশিয়ান গেমসের জন্য পুরো প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি। তারপরও তিনি যেটা চেষ্টা করেছেনÑ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুশীলনে কাজ করেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে নতুনদের শিখিয়েছেন দায়িত্ব নিতে। শেষ মুহূর্তে কাটাছেঁড়া করেছেন প্রতিপক্ষের সামর্থ্য নিয়ে। তাদের শক্তির জায়গাগুলো বিশ্লেষণ করেই চালান অনুশীলন। কোচ দলের সিনিয়রদের ওপর অতি-নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করেছেন। লক্ষ্য ছিল দলে ভারসাম্য আনা। ভারত-কোরিয়া সফরের পর নতুনরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন। টেকনিক্যালি-ট্যাক্টিকালি তারা উন্নতি করেছেন। যার ফলে এশিয়ান গেমসে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে জয়। থাইদের হারিয়ে আজ তৃতীয় জয় কী কুড়িয়ে নেয়া যাবে?
×