ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফিলিস্তিনীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তা কমল

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৬ আগস্ট ২০১৮

  ফিলিস্তিনীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তা কমল

যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার বলেছে, ওয়াশিংটন গাজা ভূখন্ড ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনীদের জন্য ২০ কোটি ডলারের বেশি সাহায্য বাতিল করে দিয়েছে। তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শান্তি বিরোধী। খবর এএফপির। পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ফিলিস্তিনী ভূখন্ড ত্রাণ কর্মসূচী পর্যালোচনার পর প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম তীর ও গাজায় এর আগে যে অর্থায়ন দেয়া হয়েছে তা এখন অন্যত্র উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এ উদ্যোগে গাজায় সাহায্য যোগানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে গাজাবাসীর জীবন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এবং এর মধ্যেই তারা এক ভয়াবহ মানবিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনী শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ এতে তাদের চাঁদার পরিমাণ অনেকখানি ছেঁটে দিয়েছে। ট্রাম্প ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মার্কিন প্রশাসন ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ফিলিস্তিনীরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করেছে এবং তারা চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতার ভূমিকা আর পালন করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনী জেনারেল ডেলিগেশনের প্রধান হুসাম জমলোত এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন ফিলিস্তিনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের দৃষ্টিভঙ্গী ও কর্মতৎপরতা থেকে সরে গেছে। গাজায় মানবিক সঙ্কটের মুখে এ ফিলিস্তিন অর্থায়ন ছাঁটের পদক্ষেপ নেয়া হলো। গাজায় মার্চে ফিলিস্তিনী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সহিংসতায় ইসরাইলীদের গুলিতে অন্তত ১শ’ ৭১ জন নিহত হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর প্যাট্রিক লিয়াই অভিযোগ করে বলেছেন, হোয়াইট হাউস ইসরাইলী-ফিলিস্তিনী সংঘাত নিরসনে সঙ্গতিপূর্ণ নীতি নিয়ে এগিয়ে আসার পরিবর্তে উস্কানিমূলক ও ক্ষতিকর কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ট্রাম্প শান্তি প্রস্তাব খসড়া করার জন্য তার জামাতা জায়েদ কুশনার ও আইনজীবী জ্যাসন গ্রিনব্ল্যাটকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি এ সপ্তাহের প্রথম দিকে বলেছেন, প্রস্তাবে ফিলিস্তিনীদের জন্য খুব শুভ কিছু থাকবে। ফিলিস্তিনীরা বিরোধপূর্ণ জেরুজালেম শহরের পূর্বাংশকে তাদের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে দেখতে চাইছে।
×