ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে গৃহবধূ খুন

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৬ আগস্ট ২০১৮

  যশোরে গৃহবধূ খুন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়া হাইওয়ে টাউনের একটি চারতলা ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ কল্পনা আক্তার (৩৭) তার দুই মেয়েকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী কাজী পলাশ ঈদের আগে দেশে এলেও তার সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় তিনি এ বাড়িতে আসেন নি। পুলিশ জানায়, নিহতের দুই মেয়েকে ফালুদার সঙ্গে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে এক ঘরে আটকে রেখে পাশের ঘরে তাদের মা’কে খুন করা হয়। খুনীরা প্রথমে তাকে স্লাইরেঞ্জ দিয়ে আঘাত ও পরে শ্বাসরোধে কল্পনাকে খুন করে। ওই ঘর থেকে পুলিশ কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও তা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করে। কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, তারা খুনের কারণ প্রাথমিকভাকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নয়। হত্যার ঘটনায় হৃদয় নামে নিহতের এক ভাগ্নেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহতের মেয়ে উষা ও তৃষ্ণা জানায়, খুনী তাদের মায়ের পূর্ব পরিচিত। বৃহস্পতিবার লোকটি তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে দুই বোনকে ফালুদার সঙ্গে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে পাশের ঘরে অচেতন করে আটকে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্ঞান ফিরে তারা মাকে ডাকতে থাকলে ওই লোকটি দরজা খুলে উষা ও তৃষ্ণাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে তারা ওই ঘরে মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। . জামালপুরে চাচা নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামে মাজহারুল ইসলাম ছোটন (৩০) নামের এক ব্যক্তি তার ভাতিজা খালিদ হাসান চৌধুরী স্মরণের হাতে খুন হয়েছেন। এ ঘটনার পর হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছে ভাতিজা খালিদ হাসান চৌধুরী স্মরণ। শুক্রবার রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মাজহারুল ইসলাম ছোটন ওই ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। জানা গেছে, সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মাজহারুল চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আপন চাচাতো ভাই ফজলুল হকের মেয়ে লোবানা আক্তার লিপুকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে মাজহারুল গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিন মাস ধরে মাজহারুল স্ত্রী লোবানাকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নবাবপুরে চলে আসেন। মাজহারুল শুক্রবার রাতে তাদের বাড়ির কাছে এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত কয়েক দুর্বৃত্ত মাজহারুলকে তার বসতঘরের পাশেই একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এ খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ভাতিজা খালিদ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খালিদ চাচা-ভাতিজি বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরেই চাচাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। . রংপুরে অটোরিক্সা চালক নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, গঙ্গাচড়া উপজেলার ধনতলা এলাকায় চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭নং খলেয়া ইউনিয়নের বিরাবারি গ্রামের বাঁশঝাড়ের খাল থেকে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের নেকিরহাট এলাকার আব্দুল হকের পুত্র আবুল কালাম (২৮) পেশায় অটোরিক্সা চালক। শুক্রবার সে ভাড়া নিয়ে গঙ্গাচড়ায় এসেছিল। যাওয়ার পথে ধনতলা বিরাবাড়ি এলকায় ছিনতাইকারীরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অটোরিক্সাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে শনিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। . কিশোরগঞ্জে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, মিঠামইন উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে বাবুল মিয়া (৩০) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ সময় আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গোপদীঘি বজকপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল মিয়া একই এলাকার মুর্শিদ মিয়ার ছেলে। সূত্র জানায়, বজকপুর গ্রামে একটি বাড়ি নিয়ে দুলাল মেম্বার ও আমির হোসেন মাস্টারের বিরোধ চলছিল। এর জেরে শনিবার সকালে দুলাল মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমির হোসেন মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করতে বাবুল মিয়া নামে এক যুবক ঘর থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে গুরুতর হয়। পরে তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়। প্রতিপক্ষরা বাবুল মিয়ার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। . ঈশ্বরদীতে দিনমজুর স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী থেকে জানান, পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সৃষ্ট মারপিটের ঘটনায় আহত সাহাপুর পশ্চিমপাড়ার দিনমজুর দেনাদার শাহীন (৩০) শনিবার সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত ২২ আগস্ট দেনার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মতিয়ার হোসেন মতির ছেলে রয়েল হোসেনের নিকট থেকে সম্প্রতি দিনমজুর শাহীন ২০ টাকা ধার নেয়। ঈদের দিন রয়েল তার পাওনা ২০ টাকা শাহীনের কাছে চাইলে সে পরে টাকা দিবে বলে জানায়। এতে রয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনের উপর চড়াও হলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর রয়েল একই এলাকার নায়েব আলী নাবুর ছেলে স্বপন ও আলম সরদারের ছেলে বাপ্পি সরদারকে ডেকে এনে বাঁশের লাঠি নিয়ে শাহিনকে আঘাত করে আহত করে। লাঠির আঘাতে শাহীনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মকভাবে জখম হয়। শাহীনের বাবা আশরাফ হোসেন ছেলেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে রয়েল তাকেও লাঠি দিয়ে মারধর করে। ঘটনার পর তাকে ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শাহীনকে পরে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২৪ আগস্ট রাতে তাকে রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
×