সংবাদ প্রকাশের পর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ২৫ আগস্ট ॥ গত ২১ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার পাতায় ‘সৈয়দপুরের বাদুড়বাড়ি’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশের পর ওই বাদুড়বাড়িটিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ভগতপাড়া গ্রামটির বাদুড় বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বজলুর রশীদ এ ঘোষণা দেয়। এ সময় উপজেলা (সহকারী) ভূমি কর্মকর্তা পরিমল কুমার, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রণোবেশ চন্দ্র বাগচি, পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেতুবন্ধনের’ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক এম আর মহসিনসহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। জসিম উদ্দিন বলেন, বাদুড় নিয়ে কল্পকাহিনীর কুসংস্কারের যুগ কেটে গেছে। এরা মানুষের উপকারই করে। বিশেষ করে কলা আর এ্যাভোকাডোসহ প্রায় ৩০০ রকমের গাছের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে। আবার কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলকে রক্ষা করে। তাই মানবকল্যাণকারী ও পরিবেশ বান্ধব এ স্তন্যপায়ী প্রাণীটি রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। বজলুর রশীদ বলেন, দেড় শতাধিক বছর পুরনো প্রায় ৩ একরের বাঁশঝাড় ও দুটি বটগাছের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে এখানে বাদুড়েরা নির্ভয়ে বসতি গড়েছে। এটি রক্ষায় এলাকাবাসী আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। যার কারণে এখানকার স্তন্যপায়ী এ প্রাণীর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েছে। তাদের এই আবাসস্থল ধরে রাখতে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।