ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক যুগ পর পেয়ারা চাষীর মুখে হাসি

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২৫ আগস্ট ২০১৮

এক যুগ পর পেয়ারা চাষীর মুখে  হাসি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার উত্তর অঞ্চলের ১২টি পেয়ারা জোনের কয়েক হাজার পেয়ারা চাষীদের মুখে দীর্ঘ এক যুগ পর হাসি ফুটেছে। এখন পেয়ারার ভরা মৌসুম। এই অঞ্চলের ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারার হাটে প্রতিদিন ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুখরিত থাকে এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশী-বিদেশী ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। খুব সকালে চাষীরা বাগান থেকে ফল তুলে নৌকায় করে বাজারে আসে এবং ভাসমান হাটে নৌকাসহ কেনাবেচা হয়। এ বছর বাজারে মণ প্রতি (৪০ কেজি) ৫০০ টাকা থেকে বর্তমানে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই ধরনের স্থিতিশীল বাজার কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলের পেয়ারা চাষীরা পায়নি। চাষীরা দাবি করেছে সরকার ৩ বছর পূর্বে ভীমরুলী বাজারের সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিম আঞ্চলিক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় তার ফল হিসেবে বর্তমানে পেয়ারা বর্তমানে ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দ্রুত বিপণন হচ্ছে। এ কারণেই এ বছর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে তারা আনন্দিত। কৃষি বিভাগ দাবি করেছে, এ বছর স্বাভাবিক ফলন হয়েছে এবং বাজারেও ভাল দাম পচ্ছে চাষীরা। ঝালকাঠি জেলার এই ১২টি গ্রামে ৫০০ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ হচ্ছে। এই অঞ্চলের একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জরিপ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে বহিরাগত পর্যাটকদের জন্য ওয়ারশরুম ও রেস্ট হাউস স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলায় এবছর ৫০০ হেক্টরের পেয়ারা চাষ থেকে পেয়ারা চাষীরা মাঠ পর্যায় থেকে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা আয় পাবেন। -মানিক রায়, ঝালকাঠি থেকে
×