ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় ঢাকায় জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৫ আগস্ট ২০১৮

 সাত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় ঢাকায় জলাবদ্ধতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। অথচ পুরো ড্রেনেজ ব্যবস্থাটাই চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এই ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করছে সাতটি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওয়াসা জানিয়েছে, রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার মধ্যে ৩৬০ কিলোমিটার দেখে তারা। দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে দেখে আড়াই হাজার কিলোমিটার। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা অর্থাৎ ডিএনডি এলাকা দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প বানিয়েছে রাজউক, যেখানে এখনও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু হয়নি। সেখানে কাজ করছে রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশন। ক্যান্টনমেন্টে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সমন্বয় করে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা তদারকি করে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, এটা সমন্বয়হীনতার একটা উদাহরণ। পুরো ব্যবস্থা যে কোন একটা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। লেকচার দিয়ে বা চিৎকার করে কোন কাজ হবে না। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, সর্বাঙ্গীন পরিকল্পনাবিহীন ড্রেনেজ ব্যবস্থায় এক জায়গার জলাবদ্ধতা আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হবে। জনসম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের মতো কোন জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আমাদের ইন্টার-মিনিস্ট্রি এবং ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল কো-অপারেশন নেই বললেই চলে। তাছাড়া একটা নগরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন জন দায়ী। তাই পরিকল্পনার সময় সবকিছু সমন্বিত হয় না।
×