ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নগরবাসী আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ছে যানজটের ফাঁদে

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ২৫ আগস্ট ২০১৮

 নগরবাসী আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ছে যানজটের ফাঁদে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনবহুল এই শহরে যতসব ভোগান্তি-সমস্যা তার তালিকা যদি করা হয় তার শুরুতেই থাকবে যানজটের নাম। বাস্তবতা হচ্ছে দিন যত যাচ্ছে, নগরবাসী ততই আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ছে যানজটের ফাঁদে। পরিণতি, রাস্তায় চলে যাচ্ছে জীবনের মূল্যবান সময়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি আদর্শ নগরীতে ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকার কথা থাকলেও, কোটি মানুষের শহর ঢাকায় আছে মাত্র ৬ থেকে ৮ শতাংশের মতো। তারপর যেখানে সেখানে পার্কিং, ফুটপাত দখল, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো নামানো, বছর জুড়ে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ক্রটি তো রয়েছেই। যদিও যানজট নিরসনে গেল দেড়-দুই দশকে দৃশ্যমান বড় বড় প্রকল্পের কাজ হয়েছে ঢাকার রাস্তায়। উঠেছে ৭টি ফ্লাইওভার। এখন ঢাকায় চলছে মেট্রোরেল আর এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ। পরিকল্পনায় রয়েছে আরো দুইটি মেট্রোরেল আর একটি বাস র‌্যাপিড ট্রানটিজ বা বিআরটির। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিগত গাড়ি কমিয়ে কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু এবং হাটার জন্য পর্যাপ্ত ফুটপাতের ব্যবস্থা করতে পারলে, কমতে পারে রাজধানীর যানজট। যদিও গণপরিবহন নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা আটকে আছে কাগজে কলমে। একটি প্রাইভেট কার ১৬ বর্গমিটার জায়গা দখল করে সর্বোচ্চ ৫ জন মানুষ বহন করে। অপরদিকে ৪২ আসনের একটি বাসের জন্য জায়গা লাগে ২০ বর্গমিটারের মতো। ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন যত মানুষ বের হন, তার ৩৮ শতাংশের চলাচল ২ কিলোমিটারের মধ্যে। অর্থাৎ, স্বল্প রাস্তার এই শহরে গণপরিবহন আর ফুটপাতের বিকল্প নেই। যদিও ঢাকায় ৩২০টি রুটে ১৫৯টি কোম্পানির প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাস চলে। কিন্তু এত কোম্পানির এত বাসেও সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনতে বছর দুই আগে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন প্রায়ত মেয়র আনিসুল হক। যেখানে সব বাস কোম্পানিকে এক ছাতার নিচে আনার কথা ছিল। আর তা চলবে ভিন্ন রঙের বাসে ৫-৬টি রুটে। যেখানে বাসের একক মালিকানার পরিবর্তে শেয়ারের ভিত্তিতে মালিকালানা বণ্টনের পরিকল্পনা ছিল। ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও, সেই পরিকল্পনার একটি উদাহরণ গুলশান বনানী এলাকায় চলাচল করা ঢাকা চাকা। বাস নেটওয়ার্ক নামে প্রায় একই রকম একটি পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের। যেটির সম্ভাব্য রুট ধরা হয় এয়ারপোর্ট থেকে প্রগতি সরণি হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত। তবে সহসাই তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের।
×