ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

আমাকে অভিশংসন করলে অর্থনীতিতে ধস নামবে

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৫ আগস্ট ২০১৮

  আমাকে অভিশংসন  করলে অর্থনীতিতে  ধস নামবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হতে পারে বলে জল্পনার প্রতিক্রিয়ায় স্বয়ং প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কোনরকম প্রচেষ্টা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বৃহস্পতিবার ‘ফক্স এ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ টিভি প্রোগ্রামে এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাকে অভিশংসন করা হলে বাজারে ধস নামবে এবং প্রত্যেকেই গরিব হয়ে যাবে।’ ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন সম্প্রতি নির্বাচনী আইন ভঙ্গ নিয়ে দোষ স্বীকার করা এবং সব অপরাধ ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ঘটেছে’ বলার পর ট্রাম্প সাক্ষাতকারে একথা বললেন। খবর ইয়াহু নিউজ ও বিবিসি। তিনি আরও বলেন, ‘এত ভাল কাজ করছে এমন একজনকে আপনারা কেমন করে অভিশংসন করতে পারেন তা আমি জানি না।’ পরে ট্রাম্প বলেন, তার প্রেসিডেন্সিকে এ+ নাম্বার দিয়েছেন তিনি। সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের কথাতেই সবচেয়ে বেশি বিপত্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প। তার সামনে আছে বড় ধরনের নির্বাচনী এবং আইনী ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রে নবেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে কেলেঙ্কারিতে পড়া ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণœœ হচ্ছে তেমনি অপরাধের তদন্ত শুরুর ক্ষেত্রও প্রস্তুত হচ্ছে। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জিতলে ট্রাম্পের কংগ্রেসে কোন আইন পাশ করানোর ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং তার অভিশংসনের প্রস্তাবও উঠতে পারে। তবে সংবাদদাতারা অবশ্য বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরোধীদের তাকে অভিশংসন করার চেষ্টা নেয়ার সম্ভাবনা নেই। এদিকে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন। নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব এড়ানোর উদ্দেশেই ‘প্রার্থীর নির্দেশনায়’ তিনি এমনটি করেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন কোহেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দাবি করা দুই নারীর মুখ বন্ধ রাখতে তাদের ঘুষ দেয়ার বিষয়ে কোহেনের এ স্বীকারোক্তি। এ বিষয়ে ট্রাম্প কোন মন্তব্য করেননি। ওই দুই নারীর মধ্যে একজনকে কোহেনের দেয়া অর্থ তিনি পরিশোধ করেছিলেন বলে মে মাসে স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে এর আগে এ বিষয়ে কোন কিছু জানার কথা অস্বীকার করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ৫১ বছর বয়সী কোহেন কর ফাঁকি ও ব্যাংক জালিয়াতিসহ তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। সম্ভাব্য কারাদণ্ড ৬৫ বছর থেকে পাঁচ বছর তিন মাসে নামিয়ে আনতে সরকারী কৌঁসুলীদের সঙ্গে এক সমঝোতার ভিত্তিতে এসব অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি। একইদিন ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সাবেক চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টও ব্যাংক জালিয়াতি ও কর ফাঁকির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। কোহেন ও ম্যানাফোর্টের মামলাগুলো যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট নিজেও আইনী প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন এমন ধারণা এখন প্রবল।
×