ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুরুষ কাবাডি দল, মহিলারা যথারীতি হারের বৃত্তে

বাছাই থেকেই বিদায় শূটার বাকি, জাকিয়া ও রত্নার

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২১ আগস্ট ২০১৮

 বাছাই থেকেই বিদায় শূটার বাকি, জাকিয়া ও রত্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পদকের ধারে কাছেও যেতে পারলেন না আবদুল্লাহ হেল বাকি। এশিয়ান গেমস শূটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বলতে গেলে বাজেভাবেই বিদায় নিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমসের রৌপ্যজয়ী বাংলাদেশের এই কৃতী শূটার। এদিকে বাছাই পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছেন দুই নারী শূটার জাকিয়া সুলতানা ও শারমিন আক্তার রত্নাও। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে জাকিয়ার স্থান ২৫ ও রত্না ৩৪তম। সোমবার জাকার্তার পালেমাং শূটিং কমপ্লেক্সে ৪৬ প্রতিযোগীর মধ্যে ৬১২.৬ পয়েন্ট স্কোর করেন জাকিয়া, যা রীতিমতো হতাশজনকই। অন্যদিকে রত্নারও একই হাল, স্কোর ৬০৯.৭। বাংলাদেশের অপর শূটার রিসালাতুল ৬১৪.০ স্কোর করে হয়েছেন ২৯তম। সর্বোচ্চ ৬৩১.৯ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষ বাছাই নির্বাচিত হয়েছেন চীনের ঝো ঝাও। এছাড়া ৬২৯.৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অপুর্ভি চান্দেলা দ্বিতীয় ও ৬২৭ পয়েন্ট নিয়ে জাপানের উনহা জুং হয়েছে তৃতীয়। এই ইভেন্টে ৪৪ প্রতিযোগীর মধ্যে বাকি ১৯তম স্থান লাভ করেন ৬১৮ স্কোর করে। নিশানা প্রত্যাশিত না হলেও গত দুই কমনওয়েলথ গেমসের রৌপ্যজয়ী এই শূটারের স্কোরে অগ্রগতি হয়েছে। গত কমনওয়েলথ গেমসে তার স্কোর ছিল ৬১৬। আর ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ৬১৫। তাতে কী? এশিয়ান গেমসে এই স্কোর পদক জয়ের জন্য মোটেও যে যথেষ্ট নয়, সেটা তিনি নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন। রাইফেল কাঁধে বিদায়ের নেয়ার পর বাকি বললেন ‘গত অলিম্পিকে অংশ নেয়ার আগে ৬৩০ স্কোর করি। গড়ে ৬২৭/২৮ পর্যন্ত ওঠানামার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু এবার সেটা কেন যে ধরে রাখতে পারলাম না বুঝতে পারছি না। আসলে মানষিক চাপ একটা বড় সমস্যা। এটাই আমাকে ডুবিয়েছে। বাকির আক্ষেপ, বিদেশে খেলার সুযোগ না পেলে উন্নতি করা সম্ভব নয়।’ গত চার মাসে কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি বাকির। বিদেশে খেলার বিষয়ে ফেডারেশন নীরব, কোন উদ্যোগ নেয় না। বুঝা উচিত ভাল রেজাল্টের জন্য দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ খুবই জরুরী। তানাহলে উন্নতি সম্ভব নয়। এশিয়ান গেমসে চীন, জাপান, কোরিয়ার প্রতিযোগীরা থাকেন বলে এখানে লড়াই করাও অনেক কঠিন। এই ইভেন্টে ভারতের দুজন রবি কুমার ও দীপক কুমার উঠেছেন ফাইনালে। আসলে এশিয়ান গেমস আর কমনওয়েলথ গেমসের মধ্যে পার্থক্য অনেক। বিশেষ করে শূটিংয়ে। এশিয়াডে অংশ নিচ্ছেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পেশাদার, সেরা শূটাররা। যা সচরাচর কমনওয়েলথ গেমসে দেখা যায় না। তবে ঢাকায় অনুশীলনে বাকি ৬২৭ পর্যন্ত স্কোর করেছিলেন। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ তিনি ইন্দোনেশিয়ায়। সঙ্গত কারণে হতাশ হওয়ারই কথা তার। অথচ দেশে গড়া স্কোরটা ধরে রাখতে পারলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে পারতেন। কারণ ৬২৪ স্কোর করে অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে পৌঁছে গেছেন উজবেকিস্তানের প্রতিযোগী গ্রিগর রাসমোফিক। এদিকে কাবাডির প্রথম ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ মহিলা ও পুরুষ দুই দলই। নিজেদের ব্রোঞ্জ পদক ধরে রাখার লড়াইয়ে চাইনিজ চাইপের কাছে ৪৩-২৮ ব্যবধানে হার মানে বাংলাদেশ মহিলা দল। আর ভারতের কাছে ৫০-২১ ব্যবধানে কুপোকাত হয় যথারীতি পুরুষ দল। গতবারে পদক ধরে রাখতে সোমবার ইরানের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না মালেকাদের। কিন্তু পারেননি তারা। বলতে গেলে বাজেভাবেই পরাজিত হয়েছে ৪৭-১৯ ব্যবধানে। এতে মহিলা কাবাডি দলের পদক জয়ের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে গতকাল সোমবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। হারের ধকল কাটিয়ে জয় পেয়েছে তারা। এদিন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৪-২২ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ দল।। কাবাডি দলের পরের দুই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলঙ্কা। এখন অবশিষ্ট দুই ম্যাচের ফল কি দাঁড়ায় সেটাই দেখার।
×