ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাড়তি ভাড়া আদায়

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২১ আগস্ট ২০১৮

 কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায়  নৌরুটে ঘরমুখো  মানুষের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ও নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ সোমবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে এখন ঘরমুখো মানুষের ঢল। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ৮ দিন নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার পর রবিবার থেকে সঙ্কট কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। নাব্য সঙ্কটের কারণে চ্যানেলের মুখে ডাম্পফেরিগুলো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে একটি রো রো ফেরি চলছে। তারপরও ফেরিগুলো পুরোপুরি লোড করা যাচ্ছে না। তাই একটু সমস্যা থেকে যাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ৮ শতাধিক গাড়ি পার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘাটে সোমবার ভোর থেকে গাড়ির চাপ দেখা যায়। এদিকে, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে রাত আটটার পরিবর্তে রাত দশটা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। এ রুটে ৮৭ টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে, বর্তমানে একটি লঞ্চ চলছে না। বিআইডাব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মোঃ সোলেমান জানান, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে একটি লঞ্চ নষ্ট। বাকি ৮৬ টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছেন। সারা বছর রাত আটটা পর্যন্ত লঞ্চ চললেও ঈদ উপলক্ষে দুই ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে। এদিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কথা হয় বাগেরহাটের মোল্লারহাট এলাকার যাত্রী সুজন মিয়ার সঙ্গে, তিনি বলেন, ‘সাধারণ সময় বাসে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ থেকে টাকা নিলেও এখন যাত্রীদের জিম্মি করে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া বাসের ভিতরেও বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে।’ শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে আসা যাত্রী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পদ্মায় পিনাক-৬ দুর্ঘটনায় এত মানুষ মারা গেল তবুও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসনের এই বিষয়ে নজর দেয়া উচিত।’ শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহম্মেদ বলেন, ‘প্রশাসনের একাধিক টিম বিভিন্ন স্পটে ঘুরে বাড়তি ভাড়া না নেয়ার জন্য বাস ও মাইক্রোবাসের কাউন্টারে গিয়ে তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×