ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা

সর্বত্র সিডিউল বিপর্যয় বাস ট্রেন লঞ্চে যাত্রী দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২১ আগস্ট ২০১৮

 সর্বত্র সিডিউল বিপর্যয় বাস ট্রেন লঞ্চে যাত্রী দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রেনের পর এবার বাসের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে হয়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে। মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে বাস ঢাকায় ফিরতে দেরি হওয়ায় সোমবার রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মহাখালী, গাবতলী, কল্যাণপুর ও টেকনিক্যাল মোড়ের বাস কাউন্টারে ছিল প্রচন্ড ভিড়। রেলস্টেশনেও ছিল একই অবস্থা। সোমবার বিভিন্ন ট্রেনের তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয় ছিল। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। একশ্রেণীর যাত্রী ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন ধীর গতিতে চলছে; যে জন্য ঢাকায় ফিরতে দেরি হচ্ছে। এতে ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। অন্যদিকে বাস কোম্পানি বলছে, ফেরার সময় মহাসড়কে যানজটের কারণে বাস ঢাকায় ফিরছে দেরিতে, সে কারণেই দেরি। উত্তরাঞ্চলের রুটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট তাই গাড়ি ফিরতে দেরি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রুটের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে জটের কারণ, ওই দেরি। শাহনাজ বেগম সকাল আটটায় কল্যাণপুরে দিনাজপুরগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই বাস শেষ পর্যন্ত ছেড়েছে এগারোটায়। তবে ঈদের যাত্রায় এমন বিলম্বে খুব একটা বিচলিত নন শাহনাজ। অন্য যাত্রীরাও বলছেন এমন দুর্ভোগ ঈদের যাত্রায় হয়েই থাকে। মহাসড়কে ফেরার পথে যানজট থাকায় বেশিরভাগ বাস দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে গাবতলীতে গরুর হাটের কারণে গাড়ি ঘুরতে দেরি হওয়ায় যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ছে। প্রতিবারই মহাসড়কের ওপর গরুর হাটে এমন দুর্ভোগ হয়। এক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও কার্যকর কিছু হতে দেখা যায় না। এদিকে রবিবার রাতে টাঙ্গাইলে যানজট ছিল, সোমবার সকালে তা কিছুটা কমে গেলেও বিকেলে পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়েছে। এতে উত্তরের বাসগুলো ঢাকায় আসতে দেরি হচ্ছে। সঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি জটের কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন পরিবহনের বাস ফিরতে দেরি হচ্ছে, ফলে কোন কোন পরিবহন বাস আসার প্রেক্ষিতে বিক্রি করছিল টিকেট। টিকেটের জন্য বেলা একটার দিকে অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ রুটের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সামনে। তাদেরই একজন ফরিদপুরের যাত্রী নয়ন উদ্দিন। তিনি বলেন, টিকেট চাইছি, ওরা বলল রাস্তায় জ্যাম। গাড়ি এলে টিকেট দেবে। কখন গাড়ি আসে, কখন দেয় জানি না। ওই কাউন্টারের কর্মী মোস্তাফিজ বলেন, ফেরিঘাটে যানজট থাকবেই। সে কারণে আমরা আগে টিকেট না দিয়ে গাড়ি আসার প্রেক্ষিতে টিকেট দিচ্ছি। মানুষের চাপ আর গরুবাহী গাড়ির কারণে শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। তবে গাড়ি চলতি রাখতে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। এদিকে রাজধানী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের পথে আরেক ফেরিঘাট শিমুলিয়া-কেওড়াকান্দিতে গাড়ির স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। এই ঘাটে মানুষের দুর্ভোগ খানিকটা কম বলে জানা গেছে।
×