ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখীতে শাহরিয়ার সুমনের নাটক ‘খোকা কঞ্জুস’

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২১ আগস্ট ২০১৮

 বৈশাখীতে শাহরিয়ার সুমনের নাটক ‘খোকা কঞ্জুস’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারের জন্য নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘খোকা কঞ্জুস’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা শাহরিয়ার সুমন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, ছন্দা ফরিদা, এলেন শুভ্র, ঈশানা, সাব্বির, অর্নব, প্রিমা, মিথিলা, তুর্য নাসিরসহ অনেকে। নাটকটি ঈদের দিন থেকে ৭ম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১-৩০ মিনিটে বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে। নাটক প্রযোজনা করেছে শব্দ মাল্টিমিডিয়া। ‘খোকা কঞ্জুস’ কাহিনীতে দেখা যাবে খোকা খুবই কৃপণ প্রকৃতির মানুষ। খোকার পরিবারে দুই মেয়ে এক ছেলে। সে ছেলেমেয়েদের ভাল পোশাক-পরিচ্ছেদ দেয় না। এ নিয়ে ছেলেমেয়েদের অনেক আক্ষেপ। পক্ষান্তরে সে যৌতুক দেয়ার ভয়ে মেয়ে দুজনকে ডেকে বলে, টাকাওয়ালা কোন ছেলেদের সঙ্গে প্রেম-ভালবাসা করে তারা দুজন যেন সেই ছেলেদের হাত ধরে চলে যায়। অপরদিকে ছেলেকে ডেকে উপদেশ দেয় প্রেম-ভালবাসা ভাল নয়। সে যেন কোন মেয়ের সঙ্গে প্রেম-ভালবাসা না করে। কারণ তার ১৫ বিঘা জমি আছে। বাকি ৫ বিঘা জমি করবে সে ছেলের যৌতুকের টাকা দিয়ে। সে ছেলেকে বিয়ে দিতে তার বিশ বিঘা জমি পূর্ণ করবে। খোকা কঞ্জুসের এসব কৃপণতা নিয়ে পরিবারে ঘটে নানা হাস্যকর ঘটনা। তার কৃপণতায় বউ, ছেলেমেয়ে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে আর প্রতিবেশী লোকজন তো আছেই। খোকা এমন প্রকৃতির কৃপণ, সে মুরগির পেট থেকে ডিম টিপে টিপে বের করে নিতে চায়। যাতে মুরগি অন্যের বাড়িতে গিয়ে ডিম না দেয়। এভাবে চলতে থাকে খোকার কৃপণতা। এদিকে ধীরে ধীরে খোকা রোগে আ?ান্ত হয়ে পড়ে। তবুও ওষুধপত্র খায় না, চিকিৎসা নেয় না টাকার ভয়ে। একদিন খোকার রোগ বড় আকার ধারণ করে। খোকার নিষেধ সত্ত্বেও তার ছেলে ডাক্তার ডেকে আনে। ডাক্তার খোকাকে দেখে বলে তার অবস্থা খুবই খারাপ। খোকাকে ঢাকার বড় ডাক্তার দেখাতে হবে। এবার খোকা কঞ্জুস ঘরে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগে। সে মৃত্যুর ভয়ে কাঁদছে না, কাঁদছে সে মারা গেলে তার সারে তিন হাত জমি নষ্ট হবে। যদি আধা হাত জামিতে তার কবর হতো, তাহলে তার তিন হাত জমি বেঁচে যেত। মরণাপন্ন অবস্থায় খোকার কৃপণতা যায় না। খোকার ছেলে খোকাকে ঢাকায় বড় ডাক্তারের কাছে নেয়। ডাক্তার বলে খোকার দুটি কিডনি ডেমেজ হয়ে গেছে, চিকিৎসা করে আর কোন ফল হবে না। খোকাকে বাড়ি ফিরে আনা হয়, সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এত জমা-জমি, টাকা-পয়সা আজ তার কোন কাজে আসল না। এর জন্য দায়ী অন্য কেউ নয়, খোকা কঞ্জুস নিজেই। এরপর আজরাই আসে খোকা কঞ্জুসের জান কবজ করতে। খোকা আজরাইলকে দেখে মৃত্যুর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আজরাইকে বলে, তার যত সহায়-সম্পদ আছে সব দিয়ে দেবে, তাকে আর কয়টা দিন বাঁচার সুযোগ যেন দেয়। আজরাই বলে, না আর সুযোগ দেয়া যাবে না, আমি অনেকবার এসে ফিরে গেছি, আর ফিরে যাব না। তোমার সহায়-সম্পদ আজ কোন কাজে আসবে না। তোমাকে আর এক মিনিটও সময় দেয়া যাবে না। আজরাইল খোকা কঞ্জুসের জান কবজ করে চলে যায়।
×