ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তেজশ হালদারের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী মুভিং স্পিরিট

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২০ আগস্ট ২০১৮

তেজশ হালদারের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী মুভিং স্পিরিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাস্কর্যের ফর্মকে ভেঙ্গে দেয়ালে তুলে এনেছেন শিল্পী তেজশ হালদার। লোহার পাতের ওপরে ওয়েল্ডিংয়ের মাধ্যমে গড়ে নিয়েছেন চিত্রপট। সেই ধাতব ক্যানভাসে করেছেন এনামেল পেইন্টিং। এভাবেই শিল্পধারায় এক নতুন সংযোজন নিয়ে শিল্প রসিকদের সামনে হাজির হয়েছেন। একইসঙ্গে উপস্থাপন করেছেন ব্রোঞ্জে গড়া ভাস্কর্য। রয়েছে কাঠ ও লোহার কাজও। সেই সব শিল্পকর্ম নিয়ে গুলশান দুই নম্বরের এজ গ্যালারিতে চলছে এই শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘মুভিং স্পিরিট’। প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছে তিনটি সিরিজের শিল্পকর্ম। লাভ, রান, ও লাইন শীর্ষক সিরিজের শিল্পকর্মে উঠে এসেছে বিচিত্র বিষয়। উদ্ভাসিত হয়েছে যাপিত জীবন থেকে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ। একটি ভাস্কর্যে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে তিনটি মানব শরীর। চলছে পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া। আরেকটি শিল্পকর্মে নিচ থেকে উপরের দিকে সর্পিলভাবে উড়ে যাচ্ছে একঝাঁক পাখি। আরেকটি শিল্পকর্মে নারীÑপুরুষের দল ছুটে চলেছে উর্ধমুখী হয়ে। ব্রোঞ্জনির্ভর ভাস্কর্যগুলোর পাশাপাশি পেইন্টিংগুলোও দারুণ দৃষ্টিনন্দন। শিল্প রসিকের নয়নে ছড়ায় ভাল লাগার অনুভূতি। তেজশ হালদার নতুন প্রজন্মের স্বনামধন্য এক ভাস্কর। চারুকলায় সবুজ গালিচায় তার গড়া শিশুদের ভাস্কর্যটি সমাদৃত হয়েছে শিল্পানুরাগীদের মাঝে। শিল্পীর এই দ্বিতীয় একক প্রদর্শনীতে সব মিলিয়ে ঠাঁই পেয়েছে ৮২টি শিল্পকর্ম। এর মধ্যে রয়েছে ৪০টি ভাস্কর্য ও ৩২টি মেটাল পেইন্টিং। ২৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর শেষ দিন আজ সোমবার। মাহমুদুন্নবী স্মরণে এ্যালবাম ‘আমার গানের প্রান্তে’ ॥ বাংলা গানের বরেণ্য এক শিল্পী মাহমুদুন্নবী। প্রয়াত এই শিল্পী আধুনিক বাংলা গান ও চলচিত্রের গানে সঞ্চার করেছিলেন নতুন মাত্রা। সে সব গান আজও কড়া নাড়ে অগণিত শ্রোতার হৃদয়ে। কালজয়ী এই শিল্পীর গাওয়া অসংখ্য গান থেকে নির্বাচিত কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তার দুই মেয়ে ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী। সেই গানের মালায় সাজানো হয়েছে সঙ্গীত সংকলন। মাহমুদুন্নবী স্মরণে অডিও এ্যালবাটির নাম রাখা হয়েছে ‘আমার গানের প্রান্তে’। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত এ্যালবামে রয়েছে ১০টি গান। এ্যালবামটিতে ফাহমিদা নবীর কণ্ঠে গাওয়া গানগুলোর শিরোনাম হলো ‘মনে মনের যে কথা’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছ’, ‘তোমার দু’হাত দিয়ে অন্ধ করে দাও’ ও ‘বড় একা একা লাগে’। সামিনা চৌধুরী গেয়েছেন ‘ওগো মোর মধুমিতা’, ‘আমি আগুনকে ভয় পাই না’, ‘অনেক সেধেছি সুর’ ও ‘তুমি যে আমার কবিতা’ শিরোনামের গানগুলো। দ্বৈত কণ্ঠে নিবেদন করেছেন ‘দিয়েছি মায়ের স্নেহ’ এবং ‘সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী’ গান দুটি। যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন আশু চক্রবর্তী।
×