ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রীতে ঠাসা ট্রেন ॥ শিকড়ের টানে চট্টগ্রাম ছাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২০ আগস্ট ২০১৮

  যাত্রীতে ঠাসা ট্রেন ॥ শিকড়ের টানে চট্টগ্রাম ছাড়ছে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম থেকে ৪টি রুটে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়াও লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো যাত্রীতে ঠাসা। যাত্রীতে একাকার ট্রেনের কোচগুলো। বরাদ্দকৃত সিডিউলের চেয়েও অতিরিক্ত কোচ নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রুটের ট্রেনগুলো। এরপরও যাত্রীর টিকেটের চাহিদা শেষ হচ্ছে না। আবার রেল কর্তৃপক্ষও যাত্রীদের আসন ব্যবস্থা না করতে পেরে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করছে প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার একঘণ্টা আগ থেকে। গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে রবিবার বিকেল থেকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেকটি ট্রেন ছিল তিল ধারণের বাইরে। কাল মঙ্গলবার অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা সবই বন্ধ। এদিকে, আন্তঃনগর ট্রেন হলেও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ১০টি ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। অগ্রিম টিকেট কেনা যাত্রীদের অবস্থা ছিল চরম অসহনীয় পর্যায়ে। কারণ স্ট্যান্ডিং টিকেট ও টিকেটবিহীন যাত্রীরা ট্রেনের এমন কোন স্থান বাদ রাখেনি। লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) সামনে থেকে শুরু করে ট্রেনের ছাদে, কোচের সিঁড়িতে এমনকি দুটি কোচের সংযোগস্থলেও যাত্রীরা উঠেছে। ফলে আসনধারী যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকাদের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হলেও ঈদ যাত্রার কারণে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে না। চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন গড়ে ঈদ যাত্রার প্রায় ১৫ হাজার যাত্রী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে চারটি রেল রুটে এসব যাত্রীরা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। এবার সবচেয়ে বেশি যাত্রীর টিকেটের চাহিদা ছিল ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে। এছাড়াও চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা বরিশালমুখী হওয়ায় এ ট্রেনে যাত্রীদের আসন টিকেটের চাহিদা মিটাতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে, সিলেটগামী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা ট্রেনের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় তিনগুণ। তবে ঢাকামুখী ৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের টিকেটের চাহিদাও পূরণ করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকি ৪টি আন্তঃনগর ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার দিন স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে এবার ট্রেনে চড়ে ঈদ যাত্রায় গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছে প্রায় দেড় লাখ যাত্রী।
×