ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৭ দিন পর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে কলেজছাত্রকে হত্যা করে দুই বন্ধু

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২০ আগস্ট ২০১৮

 বাগেরহাটে কলেজছাত্রকে  হত্যা করে দুই বন্ধু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারীতে নিখোঁজের ৭ দিন পর রবিবার দুপুরে চিতলমারী সদর বাজারের কাছে ওয়াপদা’র ডোবানালা থেকে পা বাঁধা অবস্থায় কলেজছাত্র সবুজের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় হাজার হাজার লোক খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু জনকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনকালে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন, চিতলমারী থানার ওসি অনুকূল সরকারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওসি অনুকূল সরকার জানান, গত ১৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের শিবপুর-কাটাখালী গ্রামের কৃষক পরিতোষ বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে সবুজ বিশ্বাস বন্ধুদের ডাকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এ দিন বন্ধুদের সঙ্গে সে ঘুরতে যায়। এর পর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি সে। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন লোকের বাড়ি খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে এ বিষয়ে পরদিন ১৪ আগস্ট রাতে চিতলমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে গত শনিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ শহরের মোহাম্মদ পাড়া এলাকার হাসান মৃধার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ সবুজের দুই বন্ধু লিমন ও শিব্বিরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞসাবাদে তারা সবুজকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে চিতলমারী থানা থেকে কিছুটা দূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসে আড্ডা দেয়ার সময় ঠা-া মাথায় প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় সবুজকে। এ পর চেতনা হারিয়ে ফেলে সবুজ। এ সময় গালায় রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে গভীর রাতে লাশ পাশের একটি ডোবায় কচুরির নিচে গুম করে রেখে সবুজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে শিব্বির ও লিমন গোপালগঞ্জ শহরে তাদের আত্মীয় বাড়িতে চলে যায়। প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে বলে প্রথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত লিমন খান উপজেলার আডুয়াবর্ণি গ্রামের হাসমত আলী খানের ছেলে। সে এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং শিব্বির ওই একই গ্রামের ছালাম খানের ছেলে। সে এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের আটকের সময় সবুজের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরে করা হয়েছে। . বরিশালে কিশোরী গৃহবধূ খুন স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, বাকেরগঞ্জ পৌর সদরের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরাতন থানা ভবন সংলগ্ন ভাড়া বাসায় সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরী গৃহবধূকে হত্যা করেছে তার স্বামী। রবিবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী রাকিব খান পলাতক রয়েছে। নিহত সুমাইয়া আক্তার ওই এলাকার মজিবর হাওলাদারের কন্যা ও বাকেরগঞ্জ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘাতক রাকিব পটুয়াখালীর বাউফল থানার মমিনপুর গ্রামের সিরাজ খানের পুত্র। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুমুজ্জামান বলেন, গত ছয়মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে সুমাইয়া তার প্রেমিক রাকিবের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। গত পাঁচদিন আগে সুমাইয়াকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে রাকিব। ওসি আরও বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। . মেহেরপুরে গৃহবধূ সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, মেহেরপুর শহরের ক্যাশ্যবপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গুলসানয়ারাকে (৩১) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার দায়ে স্বামী মহির উদ্দীন (৩৬) কে আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলোহের জের ধরে এ হত্যাকা- ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্ত মেহেদি হাসান জানান, মহির উদ্দীন ও গুলসানয়ারা মেহেরপুর শহরের ক্যাশ্যবপাড়ার তহমিনার বাড়িতে ৮ মাস ধরে ভাড়া আছে। সকালের ঈদের পোশাক কেনা নিয়ে দু জনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে স্বামী মহির উদ্দীন উত্তেজিত হয়ে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্ত্রী গুলসানয়ারা। পরে স্বামী আত্মহত্যার অভিযোগ দিতে থানায় গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানেিয়ছেন তিনি। এটা তার তৃতীয় স্ত্রী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। . নান্দাইলে নারী সংবাদদাতা নান্দাইল, ময়মনসিংহ থেকে জানান, থানার পাশেই নরসুন্দা নদী। নদীতে ভেসে আছে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ। প্রথমে স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পায়। পরে কাদির নামে মহল্লার এক ব্যক্তি ডিঙি নৌকা দিয়ে মাঝ নদী থেকে লাশটি টেনে ঘাটে ভেড়ান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার পেছনে নরসুন্দা নদীতে। জানা যায়, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নান্দাইল থানা কার্যালয়ের দক্ষিণ দিকে প্রবহমান নরসুন্দা নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে লোকজন। নদীর ¯্রােতে লাশটি তখন নান্দাইল পৌরসভার চ-ীপাশা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘাটের দিকে চলে যায়। পরে সেটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিহতের মেয়ে রেজিয়া খাতুন (৩৮) জানান, তার মায়ের নাম এংরাজের মা (৭৮)। পৌর মহল্লার নাথপাড়া এলাকায় তিনি থাকতেন। গত শুক্রবার ভোরে তার মা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে নরসুন্দা নদীতে লাশ ভেসে ওঠার খবর পেয়ে থানায় এসে মায়ের লাশ শনাক্ত করেন।
×