ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাই-সোনামসজিদ সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২০ আগস্ট ২০১৮

 চাঁপাই-সোনামসজিদ সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সবকটি নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র ২৫ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাকের জন্য। কিন্তু সড়কে চলছে ৬০ থেকে ৬৫ টন ভর্তি ট্রাক। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ৪৫ টন গাড়ি উঠার ফলে সরে যাচ্ছে বিটুমিন ও খোয়া। বেরিয়ে পড়ছে মাটি। সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় খাদের। এসব ট্রাক পাকা রাস্তা থেকে কোন কারণে নিচে নেমে গেলে আর উঠতে পারে না। অধিকাংশ ট্রাকে থাকে বড় বড় ও টুকরো পাথর। ভারতের অন্যতম পাথর উৎপাদনকারী প্রদেশ হচ্ছে বিহারের পাকুড়। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পাকুড়ের কাছাকাছি হবার কারণে অধিকাংশ আমদানিকারক পাথর আমদানির বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ব্যবহার করে থাকে। তাই এই বন্দরে চাপ থাকে বেশি। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজের সিংহভাগ পাথর এই পথে আসে। আমদানিকারকরা খরচ বাঁচাতে তিন ট্রাকের পাথর এক ট্রাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবার কারণে সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। এসব পাথরসহ অন্যান্য ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ নেবার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ সোনামসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি পোর্টেবল ওয়েব্রিজ বসালেও তা মাত্র এক মাস চলার পর বিকল হয়ে যায়। এটা ৪ বছর আগের কথা। এই চার বছরেও পোর্টেবল ওয়েব্রিজটি মেরামত না করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কানসাট ব্রিজ- জোহরপুর বাঁশখালী ও বিজিবি ক্যাম্প-দারুনবাড়ী সড়কের বিভিন্ন স্থানে অর্ধ সহস্র্রাধিক ছোটবড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় এই মহাসড়কের দুই পাশ বেদখল হয়ে থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। চলতি আম মৌসুমে একই ধরনের চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের দুই ধারের মাটি সরে গিয়ে সড়কে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। কার্পেটিং সরে যাবার কারণে এক সাইডে যানবাহন নামলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ওপর পানি জমে বিটুমিন উঠে গিয়ে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ বন্দর থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার পণ্যভর্তি যানবাহন যাতায়াত করে রাস্তার ধারণ ক্ষমতার ৪-৫ গুণ অতিরিক্ত লোড নিয়ে। ফলে এ বেহাল দশা হচ্ছে।
×