ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানে সংঘর্ষ ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২০ আগস্ট ২০১৮

 আফগানিস্তানে সংঘর্ষ ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের জন্য তার কৌশল প্রকাশ করার পর এক বছর কেটে গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন করে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ ও রক্তক্ষয় এবং ম্লান করে দিয়েছে অগ্রগতির কিঞ্চিত আলোকে। -খবর এএফপির। প্রতিটি অব্যর্থ হামলায় কেবল আফগান সরকারের জন্যই প্রতিবন্ধক সৃষ্টি হচ্ছে না, সৃষ্টি হচ্ছে পেন্টাগনের জন্যও। এখানে কর্মকর্তারা অবশ্য জোর দিয়ে বলছেন, চূড়ান্ত অগ্রগতি হচ্ছে পরিস্থিতির। আফগান সরকার এদিকে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য তাড়া দিয়ে যাচ্ছে। তালেবান ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপ বেশ কিছু মারাত্মক অভিযান চালিয়েছে গত কয়েক দিনের মধ্যে। হামলায় নিহত হয়েছে বেসরকারী লোক। একটি বিদ্যালয়ে আইএসের হামলায় নিহত হয়েছে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। এ হামলার আগে তালেবান জঙ্গীরা কৌশলগত শহর গজনিতে মারাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে এবং পেন্টাগনের শক্তির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে তালেবান বৃহত্তর শহরগুলোকে ফলপ্রসূভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য লড়াই করছে। জঙ্গীদের ওই আক্রমণ অভিযানের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত নিরাপত্তা বাহিনীকে লড়াই করতে হয়েছে কয়েক দিন। ট্রাম্প মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে তার সহজাত প্রবৃত্তি সত্ত্বেও গত বছর ২১ আগস্ট যখন ঘোষণা করেন যে, তিনি আফগানিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিতে বৈরিতা দ্বিগুণ করছেন এবং আমেরিকার এ দীর্ঘতম যুদ্ধকে অনিশ্চিতভাবে দীর্ঘায়িত করছেন তখন তিনি এ ধরনের শিরোনাম নিশ্চিত কল্পনা করেননি এবং তা হচ্ছে, তিনি এ খেলার পরিবর্তনকারী কিনা? আমেরিকা এক নিরাপত্তা শূন্যতার মধ্যেই কোনভাবে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে পারে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এ অভিমতে হতাশ সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে কয়েক হাজার অতিরিক্ত মার্কিন সৈন্য মোতায়েনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ট্রাম্প তার কৌশল প্রকাশের সময় বলেছিলেন, দ্রুত সরে আসার পরিণতি হবে অগ্রকথনযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য। ওই কৌশলে তালেবান নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু করার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগের কথাও বলা হয়েছিল। এর ঠিক কয়েক মাস পর আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন দাবি করেছেন, যুদ্ধের সঙ্কটপূর্ণ দিক কেটে গেছে এবং আগাম বলেছিলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারী উদ্যোগ জোরদার করবে এবং তা দুবছরের মধ্যে বর্তমান প্রায় ৬৪ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, তা মাত্র ৬৫ শতাংশে উঠেছে।
×