ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেশাদার ফুটবলার হয়ে উঠতে মরিয়া বোল্ট

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৯ আগস্ট ২০১৮

পেশাদার ফুটবলার হয়ে উঠতে মরিয়া বোল্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বপ্ন ছোঁয়ার যাত্রাটা শুরু হয়ে গেছে। এবার শুধু প্রতিযোগিতায় নামার অপেক্ষা। অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লীগ ক্লাব সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করছে অস্ট্রেলিয়ার এ ক্লাবটি। নির্দিষ্ট কোন চুক্তির ব্যাপারে না জানিয়েই ক্লাবটি তাকে দলে টানলেও জানিয়েছে ক্লাবের অন্য খেলোয়াড়রা যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে ঠিক তেমনটাই পাবেন বোল্ট। অক্টোবরের শেষদিকে ২০১৮-১৯ ফুটবল মৌসুম শুরু হলেই ফুটবলার হিসেবে যাত্রা শুরু হতে পারে এ গতিদানবের। আর বোল্টও প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে চান। সুপার এ্যাথলেট, সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর মানব, অলিম্পিক রেকর্ডধারী, কিংবদন্তি স্প্রিন্টার, বিদ্যুত বোল্ট- যে কোনটিই একজনের পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট। তিনি জ্যামাইকার গতি বিস্ময় উসাইন বোল্ট। কিন্তু গত বছর লন্ডনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো ট্র্যাকে দৌড়েছেন তিনি। তবু তার পরিচয় স্প্রিন্টার হিসেবেই। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন নতুন পরিচয়ে। এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ না খেললেও ইতোমধ্যে পেশাদার ফুটবলারের তালিকায় নাম উঠে গেছে তার। দীর্ঘদিন ধরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত বোল্ট। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন ফুটবলার হওয়ার। অবশেষে এবার হয়তো তার সেই স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। ৮টি অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী বোল্ট জীবন্ত কিংবদন্তি। অথচ এই ক্লাবটির সঙ্গে যোগ দিলেও বাড়তি কোন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন না তিনি। সিডনি থেকে ৭৫ কিলোমিটার উত্তরের একটি এলাকা গসফোর্ড। একাই সেখানে পৌঁছেছেন বোল্ট। বোল্ট পৌঁছার পর বোল্টের কি কি প্রয়োজন সেটা নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের ব্যস্ততার অন্ত ছিল না। যদিও বোল্টের কোন বিশেষ মেডিক্যাল চেকআপই করা হয়নি। তবে বোল্টও নিজের সুযোগ-সুবিধার জন্য বিশেষ কোন আবদার করেননি। কারণ তিনি মরিয়া পেশাদার ফুটবলার হয়ে উঠতে। এরপরও তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ফুটবল ক্লাবে যোগ দেয়াটা শুধুই এক ধরনের চমকবাজি কিনা? তিনি বলেন, ‘আমি পৃথিবীকে দেখাতে চাই বোল্ট কি দিয়ে তৈরি। আমি সবসময়ই নিজের সেরাটা ঢেলে দেই। আর এখন যা করব সেটাও এক বাস্তবিক লড়াই। আমি আমার ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডের শেষ মৌসুমেও বলেছি যে ফুটবল খেলতে চাই এবং আমি জানি আমার কি করা সম্ভব। আমি মেরিনার্সের প্রতি কৃতজ্ঞ সুযোগটা করে দেয়ার জন্য এবং অস্ট্রেলিয়াকে বেশ খুশিমনেই নিজের ঘরবাড়ি বলতে চাই।’ অবশ্য ইতোমধ্যেই বোল্ট জার্মানি, নরওয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি ক্লাবে ট্রায়াল দিয়েছেন স্পিন্টকে বিদায় দেয়ার পর। কিন্তু সুফল আসেনি। এ কারণে এবার বেশ স্নায়ুচাপেই থাকবেন হয়তো।
×