ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারিসে অনুষ্ঠেয় টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০১৮

  প্যারিসে অনুষ্ঠেয় টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এদেশ থেকে সর্বমোট ২১ জন তৈরি পোশাক/ ফ্যাব্রিক এবং চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক প্যারিসের চারদিনব্যপী এই প্রদর্শনীতে অংশ নিবে। টেক্সওয়ার্ল্ড-এ্যাপারেল সোর্সিং, প্যারিস হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য সবচেয়ে ভাল একটি সুযোগ, যা শুধু ফ্রান্সে না, সমগ্র ইয়োরোপে তাদের মার্কেট শেয়ার বাড়িয়ে নেয়ার জন্য অত্যন্ত সাহায্য করে। টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিসকে বলা হয় বাংলাদেশী রফতানিকারকদের জন্য ইউরোপে এ্যাপারেল সোর্সিংয়ের সবচেয়ে কার্যকর প্রদর্শনী, কেননা এই প্রদর্শনীগুলোতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিং প্রদর্শনীতে মোট ১৬৬০ জন প্রদর্শক অংশ নেয়। এতে সারা বিশ্বের ১০৮টি দেশ থেকে ১৪,৫৮১ জন দর্শনার্থী আসেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের সমাগম হয় যাদের অনেক বড় একটি অংশ এসেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, তুর্কি, স্পেন, ইটালি এবং জার্মানি থেকে। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া ২১ জন প্রদর্শকের মধ্যে ০৯ জন নিটওয়ার পণ্যের, ৫ জন ডেনিমজাত পণ্যের, ৪ জন ফ্যাব্রিক এবং ৩ জন চামড়াজাত পণ্যের প্রস্তুতকারক। টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর প্রদর্শনীতে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) ব্যানারে বাংলাদেশ তার সপ্তম জাতীয় প্যাভিলিয়ন পাচ্ছে। গত বছরের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের স্টলগুলোতে ছিল দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, আমেরিকা, ব্রিটেন, তুর্কি, জার্মানি, ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান এবং মধ্য এশিয়ার দেশ থেকে আসা দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রদর্শকেরা ব্যস্ত ছিল পুরো সময়টুকুতেই। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) টেক্সওয়ার্ল্ড এ্যাপারেলস সোর্সিং প্যারিসকে সবসময়েই সমাদর করে, শুধু তাইই নয়, তার সদস্যদের এই প্রদর্শনীতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধও করে। বিজিএমইএর যুগ্ম সচিব (যোগাযোগ ও বাণিজ্য মেলা) ওমর গিয়াসের মতে, ইউরোপের বেশিরভাগ ক্রেতার সমাগম হয় বলে আমাদের তৈরি পোশাক পরিবেশন করার জন্য আমরা টেক্সওয়ার্ল্ড প্যারিসকে ইউরোপের সর্বাধিক কার্যকরী প্রদর্শনী বলে মনে করি। মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট খুব সফলভাবে কয়েক দশক ধরে বছরে দুইবার এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। শুধু তাই নয় আমরা এমনকি আমাদের সদস্যদের মাঝেও এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার জন্য আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে লেদার ওয়ার্ল্ড প্যারিস একই স্থানে এবং একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। লেদার ওয়ার্ল্ড প্যারিসে ট্যানারির পাশাপাশি সরাসরি ব্যবহারযোগ্য চামড়াজাত সামগ্রীও থাকবে। এছাড়াও এই প্রদর্শনীতে চামড়াজাত পোশাক থেকে শুরু করে নানারকম জিনিস যেমন ব্যাগ, জুতা এবং অন্যান্য ফ্যাশন পণ্যও থাকবে। গত বেশ কিছু বছর ধরেই বিভিন্ন বিখ্যাত চামড়াজাত পণ্যের প্রস্তুতকারকরা এই প্রদর্শনীতে তাদের জন্য একটি অংশ রাখার অনুরোধ করছিলেন, ফলে এই প্রদর্শনীর সূচনা। সেপ্টেম্বর ২০১৮ এর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে যে প্রদর্শকরা যাচ্ছেন তারা হলেন- ফেব্রিকস : এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইলস, এভিন্স টেক্সটাইলস, যাবের এ্যান্ড যুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড। ডেনিম: আরগন ডেনিমস, চিটাগং ডেনিম মিলস, মাহমুদ ডেনিম, এনযে ডেনিম, নাইস ডেনিম। তৈরি পোশাক : ডি কে সোয়েটার, ডেলফিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ইভ ড্রেস শার্ট, এভারব্রাইট সোয়েটার, ফাহিম এ্যাপারেলস, হেলেনিক সোর্সিং, স্টাইল লিড ফ্যাশন, টিম সোর্সিং, ভয়েজার এ্যাপারেল। চামড়াজাত পণ্য: আমাস ফুটওয়ার, বিএলজে বাংলাদেশ কর্পোরেশন, মেগামি ফুটওয়ার।
×