ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 চামড়া পাচার  রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আসন্ন কোরবানির ঈদের পর সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার, টহল বাড়ানো ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সীমান্তের কার্যক্রম সর্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী এক মাস এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে গরু ও ছাগলের চামড়ার দাম অনেক কম। একই সঙ্গে চামড়া সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত লবণের দামও দেশের ভেতরে চড়া। তাই কোরবানির পরপরই চামড়া ভারতে পাচারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে সতর্কাবস্থা নেয়া হয়েছে। ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার এলাকা তারকাটার ঘেরা। অবশিষ্ট ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে তারকাটা নেই। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাটিকেই তাদের পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাই এই জায়গাগুলো বিজিবি সবসময় নজরদারির মধ্যে রাখে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। নিদের্শনায় বলা হয়েছে, ঈদের ১৬ দিন আগে এবং ঈদের ১৫ দিন পর পর্যন্ত সীমান্তপথে কঠোর নজরদারি রাখার কথা। কোনভাবেই যেন সীমান্ত পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চামড়া পাচার হতে না পারে। বিজিবি এ সংক্রান্ত কাজ শুরু করে দিয়েছে, যা ঈদের পর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন, নিজস্ব সোর্স এর সঙ্গে বেসামরিক সোর্স নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং অতিরিক্ত টহলের মাধ্যমে এসব এলাকাগুলোকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, সীমান্তে দায়িত্বরত সব বিজিবি সদস্যকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী সব ক্যাম্পকেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে গরুর চামড়া জমা করা হয়, সেখান থেকে পরে সেই চামড়াগুলো কোথায় এং কোন গন্তব্যস্থলের দিকে যায়, সেদিকেও নজরদারি থাকবে। বিজিবির এই অভিযান এক মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রয়োজনে এই সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
×