ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কোরবানির পশুবর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কোরবানির পশুবর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কোরবানির পশুবর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। তবে এজন্য এগিয়ে আসতে হবে নগরবাসীকেও। কর্তৃপক্ষগুলো বলছেন, উন্মুক্তস্থানে তো নয়ই; পশু কোরবানি করতে হবে নির্ধারিত স্থানে। পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ঈদ-উল-আজহায় বেড়ে যায় রাজধানীর বর্জ্য। কোরবানির পর ঢাকাবাসীকে দ্রুত বর্জ্যমুক্ত নগরী উপহার দিতে কয়েক বছর থেকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে দুই সিটি কর্পোরেশন। তারপরও দুর্গন্ধময় পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় সপ্তাহও পেরিয়ে যায় কোন কোন মহল্লাবাসীর। দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বর্জ্য অপসারণে দায়িত্ব পালন করবেন অন্তত ২১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। কোরবানির জন্য এবার ঢাকায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার এক শ’ ৭০টি। নগরবাসীকে এসব স্থানেই কোরবানি করতে অনুরোধ করেছে সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, গত বছরও আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করেছি, এবারও সেই ধরনের প্রস্তুতি থাকবে। সেটা মেয়র মহোদয় ঘোষণা দেবেন। তবে, এর বেশি হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল বলেন, সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে নগরীটাকে পরিবেশসম্মত রাখতে পারি অল্প সময়ের মধ্যে। সেই সঙ্গে বর্জ্যসমূহ অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত সরাতে পারি। সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। তারপরও যারা বাসার ভেতরে কোরবানি করবেন তারা নিজ দায়িত্বে সিটি কর্পোরেশনের পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করে বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রেখে আসবেন। নগর পরিকল্পনাবিদরাও বলছেন শহরকে দ্রুত পরিচ্ছন্ন করতে দায়িত্ব রয়েছে নাগরিকদেরও। নগরবিদ আখতার মাহমুদ বলেন, নাগরিকদের থেকে রেসপন্স করা দরকার। সেই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের যে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তারা সময়মতো ময়লাগুলো যেন নিয়ে যায়। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকা শহরে ১ লাখ কোরবানি ঢাকা শহরকে দুর্গন্ধময় করে রাখবে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। এই ১ লাখ মানুষকে নিয়ম-কানুন অনুযায়ী বর্জ্য সংরক্ষণ এবং বর্জ্য সুব্যবস্থাপনা করার কার্যক্রমে বাধ্য করতে হবে। নগরবিদরা বলছেন, উন্নত বিশ্বেরমতো ঢাকায় যেদিন অসংখ্য সেøাটার হাউজ বা পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান করা সম্ভব হবে সেদিন নিশ্চয়ই বর্জ্য অপসারণের দুর্ভোগ কমবে।
×