ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপা ভাবনায় বিভোর বাঘিনীরা...

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 শিরোপা ভাবনায় বিভোর বাঘিনীরা...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আট মাসে আগে নিজেদের মাটিতে যে দলকে হারিয়ে শিরোপা জেতা হয়েছিল, এবার সেই একই আসরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ফাইনালে ফের সেই একই প্রতিপক্ষ। এবারও কী একই রকম ফলাফল প্রত্যাশা করা যাবে? বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীরা তো মনে করেন এবারও সাফ অনুর্ধ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্যই ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বাংলার বাঘিনীরা। তাদের সেই শক্তি, সামর্থ্য এবং আত্মবিশ্বাস পুরোমাত্রায় আছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে তখন মাই কুজো অনলাইন টিভিতে চোখ রেখে স্রষ্টার কাছে মারিয়াবাহিনীর জয়-সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করবেন কোটি বাংলাদেশী ফুটবলামোদী। বাংলাদেশ দল কী ভাবছে ফাইনাল নিয়ে? জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই। চলুন দেরি না করে জানা যাক। অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দার অভিমত, ‘আর মাত্র এক ম্যাচ বাকি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য সবাই সর্বাত্মক চেষ্টা করব। শুরুতেই আমরা প্রতিপক্ষের ওপর প্রচ- চাপ সৃষ্টি করে গোল আদায় করে নিতে চাই। ভারত অনেক ভাল দল। তাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমরা তাদের সমীহ করেই খেলব। কিন্তু খেলব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই।’ গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারের মন্তব্য, ‘স্বাগতিক ভুটানের বিরুদ্ধে সেমির ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে খুব খুশি। এখন আমরা ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সিরিয়াস। গোলরক্ষক হিসেবে আমি গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।’ ডিফেন্ডার এবং সহ-অধিনায়ক আঁখি খাতুনের প্রতিক্রিয়া, ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে আমাদের লক্ষ্য একটাই, ফাইনালে আবারও ভারতকে হারানো। সেটাই আমরা করব।’ স্ট্রাইকার তহুরা খাতুনের ভাষ্য, ‘আমরা ফাইনালে উঠেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য নিজেদের শতভাগ নৈপুণ্য নিংড়ে দিয়ে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে আবারও শিরোপা জেতা। আর ফাইনালে গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই।’ দলের সহকারী কোচ সাবিনা খাতুন বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নিজেদের আরেকবার সেরা দল হিসেবে প্রমাণ করার। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’ ভুটান-ম্যাচ নিয়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘এখানে এসে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পড়েছিলাম ভুটান দলটি আগের চেয়ে শক্তিশালী, তারা একাডেমিতে অনুশীলন করে। এ জন্য ভেবেছিলাম সেমির ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাছাড়া তারা স্বাগতিক, দর্শক সমর্থনও বেশি পাবে। কিন্তু মাঠে দেখলাম ভিন্নকিছু। তারা তো প্রথম মিনিট থেকেই ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে। তারা ভেবেছিল মাত্র একটা স্ট্রাইকারকে সামনে খেলিয়ে কাউন্টার এ্যাটাক স্টাইলে খেলবে। কিন্তু সেমির মতো ম্যাচে এভাবে খেলার কোন মানে হয় না। তারা এত বেশি ডিফেন্সিভ খেলেছে, এ জন্য আমরা আরও অনেক গোলবঞ্চিত হয়েছি। তবে আমি গোলসংখ্যা নিয়ে কখনই মাথা ঘামাই না। জয়টাই আসল। আমার দলের খেলোয়াড়দের দেখে বোঝার কোন উপায় নেই, তাদের আছে অবিশ্বাস্য ফিটনেস। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেনÑ সেমির ম্যাচসহ প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের মেয়েরা প্রথম থেকে একেবারে ৯০ মিনিট পর্যন্ত একেবারে সমানতালে খেলেছে। এমনকি ডিফেন্স থেকে উঠে গিয়ে আক্রমণ করে আবার সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্সে নেমে এসেছে। ফিটনেস না থাকলে তো এটা সম্ভব নয়। অথচ এই আসরে বাকি দলগুলোর খেলোয়াড়দের এই ফিটনেস নেই।’
×