ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ কর্মীকে খুন করল প্রেমিকা

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 যুবলীগ কর্মীকে খুন করল প্রেমিকা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নগরীর খুলশী থানায় ফয়’স লেক এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে হোটেল কক্ষেই মস্তকবিচ্ছিন্ন মরদেহটি পাওয়া যায়। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার কথিত প্রেমিকাকে আটক করেছে। সিএমপির খুলশী থানা পুলিশ জানায়, নিহত মোঃ মাইনুদ্দীনের (২৯) বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বালিরচর গ্রামে। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি লেকভিউ আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। ভোর রাতে কক্ষ থেকে পুলিশ তার দ্বিখন্ডিত দেহ উদ্ধার করে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তার কথিত প্রেমিকা ডাঃ রোকসানা আক্তার পপিকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে পপি এ হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানা যায়, মাইনুদ্দীনের সঙ্গে পপির ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। বছর চারেক আগে তারা গোপনে বিয়ে করেন। কিন্তু সে বিয়ে পপির পরিবার মেনে নেয়নি। পরে পপি ডাক্তারি পড়ার জন্য চীনে চলে যান। দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় দু’জনের মধ্যে দূরত্বেরও সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে পপির সঙ্গে আরেক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। কিন্তু মাইনুদ্দীন তা মানতে পারছিলেন না এবং পুরনো সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। গত বৃহস্পতিবার পপি চীন থেকে আসেন। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রিসিভ করে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন মাইনুদ্দীন। এরপর তারা ওঠেন খুলশীর রিসোর্টে। নিহত মাইনুদ্দীনের বড় ভাই মোঃ জাফর বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পপি তার সহযোগীদের নিয়ে এই খুন করেছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সকল তথ্যই বেরিয়ে আসবে। শিশুর মরদেহ উদ্ধার ॥ নগরীর বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরিয়ম নামের এই শিশুটি কক্সবাজারের উখিয়া এলাকার মফিজুর রহমানের কন্যা। শুক্রবার ভোর রাতে স্থানীয় একটি মাছের প্রজেক্ট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
×