ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়া শুধু মৌলবাদ বিস্তারের পক্ষেই আপোসহীন

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৮ আগস্ট ২০১৮

খালেদা জিয়া শুধু  মৌলবাদ বিস্তারের  পক্ষেই  আপোসহীন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়া হলেন এমন খাঁচার তোতা পাখি, যিনি মালিকের ইচ্ছার বাইরে কথা বলতে পারেন না। সেই মালিক হলো আইএস, সেই মালিক হলো পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গীবাদের প্রেতাত্মারা। তিনি শুধু মৌলবাদ বিস্তারের পক্ষেই আপোসহীন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মৌন মিছিল ও কালো পতাকা প্রদর্শন পরবর্তী সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। নেতারা আরও বলেন, নব্বই-এর দশকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল। তখন বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদেই তা হয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে দেশনেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু আমরা সুর মিলিয়ে বলতে চাই যে তিনি পাকিস্তানের দেশনেত্রী। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াতের মদদে শেখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিক্তিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ২১ আগস্ট হামলা করেছে। এসব ঘটনার মূল উদ্দেশ্য এক। তা হলো বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সারা বাংলার অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজকে একত্রিত করে আমরা দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট গোটা বাংলাদেশ জঙ্গীদের কালো হাতে ঢেকে গিয়েছিল। বিএনপি জামায়াতের মদদে সন্ত্রাস ও মৌলবাদীরা সারাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। সেই সরকারের আমলেই শেখ আব্দুর রহমানের মতো জঙ্গীরা এদেশে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিল। আমরা দেখেছি কিভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম হয়।
×