ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় ঈদ যাত্রার ফিরতি টিকেটের দীর্ঘ লাইন ॥ বাড়তি টাকায়ও মিলছে না

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৭ আগস্ট ২০১৮

বগুড়ায় ঈদ যাত্রার ফিরতি টিকেটের দীর্ঘ লাইন ॥ বাড়তি টাকায়ও মিলছে না

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ রবীন্দ্রনাথের কবিতায় ছোট তরীতে ঠাঁই ছিল না। একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষের দিকে কোচ বাস ট্রেন উড়োজাহাজ লঞ্চে ঠাঁই নেই অবস্থা। ঈদ যাত্রা ও ফিরতি যাত্রার টিকেট পেতে কী যে বিড়ম্বনা তা ভুক্তভোগীরা হাড়ে হাড়ে টের পায়। বৃহস্পতিবার বগুড়ায় ভোর হওয়ার কিছুটা আগেই রাস্তায় জন চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেলে কৌতূহলও বেড়ে যায়। পরে জানা যায়, ঈদের ছুটির পর ঢাকায় ফিরে যাওয়ার টিকেট পেতে লাইনে দাঁড়াবার জন্য তড়িঘড়ি করে লোকজন ছুটছে। ঢাকা থেকে যারা ঈদ উৎসব করতে বগুড়া আসবেন তাদেরই ফেরত যাত্রার টিকেটের এই লাইন। এত ভোরে লাইনে দাঁড়াবার পরও অভিযোগ পাওয়া যায়, ঈদের একদিন পর থেকে পরবর্তী দশ দিনের টিকেট সকাল দশটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে নামীদামী কোচ সার্ভিসগুলোর টিকেট শেষ হয়ে যায় সকাল ৮টার মধ্যেই। এ দিকে একই অবস্থা ট্রেনের টিকেটের। আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেসের ঈদের পরের দশ দিনের কোন টিকেট নেই। বগুড়া থেকে প্রতিদিন ঢাকা অভিমুখী বিভিন্ন কোম্পানির কোচ যায় অন্তত একশ’ বার। সকাল ৬টা থেকে ঢাকা যাওয়া শুরু হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত চলে। এর মধ্যে তিনটি কোম্পানির ডিলাক্স সুপার এসি, নরমাল এসি কোচ আছে। বাকিগুলো সাধারণ কোচ। অন্য সময় সাধারণ কোচের ভাড়া প্রতিটি আসন সাড়ে তিনশ’ টাকা। ঈদের সময় এই ভাড়া ৫শ’ টাকায় ঠেকে। ডিলাক্স সুপার এসি (হুন্দাই ২৭ আসনের) স্বাভাবিক সময়ে প্রতিটি আসন এক হাজার টাকা। ঈদের সময় দেড় হাজার টাকা। ডিলাক্স সুপার এসি ৩০ আসনের স্বাভাবিক সময়ে প্রতিটি আসন ৭শ’ টাকা। ঈদের সময় তা বেড়ে যায় এক হাজার টাকায়। নরমাল এসি ৪০ আসনের স্বাভাবিক সময়ে প্রতিটি আসন ভাড়া ৫শ’ টাকা। ঈদের সময় প্রতিটি আসন ৭শ’ টাকা।
×