ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সড়কে কাদা ॥ নওগাঁর ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৭ আগস্ট ২০১৮

সড়কে কাদা ॥ নওগাঁর ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৬ আগস্ট ॥ রাস্তা তো নয়, যেন ধানের চারা লাগানোর জন্য সদ্য হালচাষ করা জমি। নওগাঁর গ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ মাটির রাস্তা দীর্ঘদিনেও পাকাকরণ না করায় ৫ গ্রামের অন্তত ৩ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এমনকি চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় আড়াই কি. মি. রাস্তাটি সম্পূর্ণ হাঁটু সমান কাদার সৃষ্টি হওয়ায় ওই ৫ গ্রামের মানুষ বিশেষ করে কৃষকরা তাদের জমিতে ফলানো বিভিন্ন ফসল বিক্রির জন্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া মোড় থেকে শ্যামবাটি গ্রামীণ রাস্তাটি চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে প্রায় আড়াই কি. মি. রাস্তা সম্পূর্ণ হাঁটু সমান কাদায় পরিণত হয়। প্রতি সপ্তাহের শনিবার ডাঙ্গাপাড়া মোড় বাজারে হাট বসে। আর হাটের দিন হওয়ায় ওই হাঁটু সমান কাদার মধ্য দিয়েই অনেক লোককে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা বাজার করতে আসতে হয়। হাঁটু-সমান কাদা-পানি পেরিয়ে আসা ডাঙ্গাপাড়া মোড় বাজার ও হাটের দোকানি (ব্যবসায়ী) ও চকগোবিন্দ গ্রামের রশিক টুডুর ছেলে হেমন্ত টুডু (২৭) আক্ষেপ করে বলেন, গ্রামীণ এ মাটির রাস্তা দিয়েই আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করি। শুধু আমি না আমাদের গ্রামসহ মোট ৫ গ্রাম চকগোবিন্দ, শ্যামবাটি, মাঙ্গালপাড়া, হঠাৎপাড়া ও কৃষ্ণবল্লব গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নওগাঁ জেলা সদর ও পতœীতলা উপজেলা সদরসহ হাট-বাজার করতে এই একটি মাত্র রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের পুরনো এ মাটির রাস্তাটিই ৫ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজারের মতো লোকজনের চলাফেরার একমাত্র রাস্তা হলেও এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। এলাকাবাসী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের গ্রামসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুরা একমাত্র এ রাস্তাটি দিয়েই চলাফেরা করতে হয়। এছাড়া প্রতি সপ্তাহের শনিবার ডাঙ্গাপাড়া মোড় (বাজার) হাটবার হওয়ায় হাঁটু সমান কাদা পেরিয়েই হাট-বাজার করার জন্য আমাদের আসতে খুবই কষ্ট হয়। তারা আরও বলেন, প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি হাঁটু-সমান কাদার সৃষ্টি হওয়ায় আমরা গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছি। এমনকি প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আমাদের গ্রামসহ ৫ গ্রামের আমরা সাধারণ কৃষকরা মাঠের জমিতে ফলানো ফসল পর্যন্ত হাট বা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে পারি না। কারণ বর্ষা মৌসুমে খালি পায়ে হাঁটু-সমান কাদার উপর দিয়ে চলাফেরা করতে পারলেও কোন প্রকার বাহন বিশেষ করে ভ্যান চলাচল এ রাস্তায় বন্ধ থাকায় আমাদের কষ্টে ফলানো ফসল পর্যন্ত হাট-বাজারে নিতে পারি না। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য এলাকার এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন দুর্ভোগের শিকার ভুক্তভোগীরা। অরোণকোলা সড়ক স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী থেকে জানান, অরোণকোলা মাদ্রাসা থেকে মিয়াপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না করায় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়কের ওপর পশু হাট বসানোসহ নানা কারণে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি মেরামতের জন্য বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও অদ্যাবধি কোন কাজ হয়নি। অরোণকোলা মাদ্রাসাপাড়া ও মিয়াপাড়ায় বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের নিকট দেয়া দু’শ জনের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের অধীনে হাটপাড়া, মাদ্রসাপাড়া ও মিয়াপাড়া। এসব পাড়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকায় একটি মাদ্রাসা, একটি হাইস্কুল ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে অরোণকোলা মাদ্রাসা মোড় থেকে নয়’শ ত্রিশ মিটার দীর্ঘ মিয়াপাড়া পর্যন্ত চলাচল করতে হয়। এছাড়াও নারিচা এলাকার মানুষও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। জেলার সবচেয়ে বড় অরোণকোলা পশু হাট। প্রতি হাটবার আসার আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত এ এলাকায় শতশত বৈধ-অবৈধ যানবাহন ও হাজার মানুষের চলাচল ও অবস্থান করতে হয়। এ সময় সড়কের ওপর যানবাহন ও গরু বেঁধে রাখায় সড়কের ক্ষতিসহ শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, মানুষ বহনকারী যানবাহন চলাচল করতে অসুবিধা হয়। এসব অসুবিধা দূরীকরণে হাট কর্তৃপক্ষকে বলেও কোন কাজ হয়নি। রহনপুর-ভোলাহাট সড়ক স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, মাত্র ২২ কিলোমিটার। রহনপুর- ভোলাহাট সড়ক। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে গর্তগুলো মিনি পুকুরে রূপ নিয়েছে। হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। বড় যানবাহন অনেক দিন ধরে চলছে না। ছোট ছোট যাত্রীবাহী যান চলাচল করলেও গর্ত পার হতে যাত্রীদের কাদা মাটির মধ্যে নামিয়ে দেয়া হয়। গর্তের কারণে অটোরিক্সা উল্টে ১ আগস্ট পর্যন্ত ৬৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেককেই যেতে হয়েছে হাসপাতালে। রাস্তাটির ২ কিলোমিটার থেকে ১৩ কিঃ মিটার পর্যন্ত কোন ধরনের যানবাহন নামতে সাহস করে না। সড়কটির ঘাইবাড়ি, পীরগাছি, বারইপাড়া, বটতলা, আমাতলা, মুশরীভূজা, ময়ামারা ও নিমগাছির মোড় পর্যন্ত ৮ কিঃ মিটার মরণ ফাঁদ। নামলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এক কথায় পেতে রাখা মরণ ফাঁদ বললে অত্যুক্তি হবে না। ঈদ-উল ফিতরের সময় কিছু মরণ ফাঁদ গর্ত পূরণ করলেও তা টিকেনি। নিম্নমানের এই জোড়াতালির সামগ্রী ছিল ধার করা।
×