ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার কোরবানির ঈদে এক কোটি ৩০ লাখ পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৭ আগস্ট ২০১৮

এবার কোরবানির ঈদে এক কোটি ৩০ লাখ পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির ঈদে প্রায় ২০ লাখ পিস বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের। তবে, ট্যানারি মালিকদের কাছে কয়েকশ’ কোটি টাকা বকেয়া থাকায়, এখনও পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে পারেননি তারা। এই আর্থিক দুর্বলতার সুযোগে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ যেমন বাড়বে তেমনি চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন পাইকাররা। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, কোরবানি উপলক্ষে ব্যাংক ঋণ পাওয়া সাপেক্ষে বকেয়া পরিশোধ করবেন তারা। যদিও এবার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিমুখী খাত, চামড়া শিল্প। বছরজুড়ে এই শিল্প মালিকরা যে পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করেন তার প্রায় অর্ধেকই আসে কোরবানির ঈদে। কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের হিসাব মতে, গত কোরবানিতে দেশব্যাপী ১ কোটি পিস পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, সংগ্রহ হয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। আর এবার নির্বাচনী বছর হওয়ায় বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রা। ১ কোটি ৩০ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য তাদের। বাংলাদেশ হাইড এ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোটের রাজনীতি আমাদের দেশে কেমন হয় তা তো জানেনই। আমি মনে করি, এ বছর এক কোটি ২৫/৩০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ হবে।’ তবে, বিপুল সংখ্যক এই চামড়া সংগ্রহে এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেননি তারা। কারণ, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া আছে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে আমরা যারা পাইকারি ব্যবসা করি সাড়ে তিন থেকে চার শ’ কোটি টাকা আমরা তাদের কাছে পাব। আমাদের অবশ্যই টাকার যোগান দিতে হবে। এটা ট্যানারি মালিকদেরকেই ফয়সালা করতে হবে। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী কিছু টাকা ইনভেস্ট করে।’ ট্যানারি মালিকরা বলছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও সহজ শর্তে ঋণ পেলেই পরিশোধ করা হবে পাওনা। তবে, গেলবারের দেয়া ৪৬৫ কোটি টাকা ঋণের বেশিরভাগই পরিশোধ না হওয়ায় এ খাতে ফের বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম বলে জানান বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তাদের টাকা কিন্তু আমরা আসলে সেভাবে দিতে পারিনি। এই কারণে তারাও একটা অর্থ সঙ্কটে ভুগছে। ঝুঁকি তো থেকেই যায়, যদি তারা অর্থ সঠিকভাবে না পায় তাহলে তারাও চামড়া সংগ্রহ সঠিকভাবে করতে পারবে না।’ সংগ্রহ করা চামড়া সংরক্ষণে যেন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দেয়া হয়। আর ঈদের আগে লবণের দাম বাড়ানোর প্রবণতা থেকে যেন সরে আসেন লবণ ব্যবসায়ীরা, সেই আহ্বানও তাদের।
×