ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৭ আগস্ট ২০১৮

ঝলক

ক্যান্সার ঠেকায় বাঁধাকপি বাঁধাকপি বা ব্রোকোলির মতো কিছু সবুজ রঙের পাতাওয়ালা সবজি পেটের জন্য ভাল। এটা বহুদিন ধরেই প্রমাণিত। কিন্তু এসব সবজি শরীরে ঠিক কী প্রভাব ফেলে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এতদিন জানা ছিল না। তবে একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বলছেন, এসব সবজি পাকস্থলিতে প্রবেশ করার পর যখন হজম প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন এগুলো থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধী রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয়। ব্রিটেনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের একদল বলছেন, মলাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে বাঁধাকপি, ব্রোকোলি বা কেইল শাকের মতো কিছু সবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষকরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য পান। পরীক্ষাগারে ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক কীভাবে সবজি পাকস্থলি এবং অন্ত্রের ওপর পাতলা আবরণ তৈরি করে। পাশাপাশি চামড়ার মতো অন্ত্রের আবরণও ক্রমাগত বদলাতে থাকে। প্রতি চার-পাঁচদিনের ব্যবধানে নতুন আবরণ তৈরি হয়। তবে এই প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত হলে অন্ত্রে প্রদাহ, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। নতুন এই গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, বাঁধাকপি বা ব্রোকোলির মতো ক্রসিফেরাস গোত্রের কিছু সবজি থেকে যে রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয়, তা এই আস্তরণ তৈরির প্রক্রিয়াকে বাধাহীন করতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখেছেন যে, খাবার চিবানোর সময় এই সবজিগুলো ইন্ডোল-থ্রি-কার্বিনোল নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে। গবেষক দলের প্রধান ডক্টর গিট্টা স্টকিঞ্জার বলেন, তবে নিশ্চিত করতে হবে এসব সবজি যেন বেশি সেদ্ধ না করা হয়, বেশি যেন গলে না যায়। গবেষণায় দেখা গেছে ইন্ডোল-থ্রি-কার্বিনোল সমৃদ্ধ সবজি ইঁদুরের পাকস্থলিতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করছে। স্টকিঞ্জার আরও বলছেন, এমনকি আমরা দেখেছি, ইঁদুরের পাকস্থলিতে যখন টিউমার তৈরি হচ্ছে, তখন এই সবজিগুলো সেই টিউমারের গ্রোথ থামিয়ে দিচ্ছে। এই গবেষণার পর স্টকিঞ্জার নিজেই এখন মাংস কমিয়ে বেশি করে সবজি খাচ্ছেন। -বিবিসি অবলম্বনে। অবসর ভাতা নেবেন না উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে আলবার্তো ‘পেপে’ মুজিকা কর্ডানো। অবশ্য রাজনীতির ময়দানে সাবেক এই গেরিলা নেতা হোসে মুজিকা নামে পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তবে এবারের খবরটি আরও ব্যতিক্রম। খবর হলো, সম্প্রতি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আমৃত্য কোন প্রকার অবসর ভাতা নিতে চান না। কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করলেও দেশটির একজন ঝানু সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ৮৩ বছর বয়সী মুজিকা। ২০২০ সাল পর্যন্ত এ পদে থাকতে পারতেন তিনি। তবে মুজিকা মঙ্গলবার আচমকা উরুগুয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে জানান, দীর্ঘ পথ চলতে চলতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন- সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০১০ সালে উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন মুজিকা। এরপর সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। শহরে প্রেসিডেন্টের ঝকঝকে চকচকে প্রসাদ ছেড়ে গ্রামের এক কোণে ছোট্ট একটি কুটিরে বাস করতেন তিনি। নিজেই চাষাবাদ করতেন। স্ত্রীর নিকট থেকে উপহার পাওয়া সামান্য জমিতে সবজি ও ফুলের চাষ করতেন। এগুলো দিয়েই চলত তার সংসার। দিনের শুরুতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যেতেন প্রেসিডেন্ট অফিসে। নিজের বেতনের পুরোটাই দিয়ে দিতেন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠির শেষে তার দীর্ঘদিনের সিনেটরদের কাছে ক্ষমা চান মুজিকা। তিনি লিখেন, সিনেটে বক্তৃতার সময় আমার কোন কথায় যদি কোন সিনেটর বন্ধু কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখিত। -ইন্ডিপেনডেন্ট অবলম্বনে।
×