ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাইবার সিকিউরিটি টুলস

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৭ আগস্ট ২০১৮

সাইবার সিকিউরিটি টুলস

ফিরোজ মান্না ॥ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার ও দেশবিরোধী অপপ্রচার বন্ধে কেনা হচ্ছে ‘সাইবার সিকিউরিটি টুলস’। এই টুলসের মাধ্যমে সর্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইট। জামায়াত, শিবির ও বিএনপির তৈরি অপপ্রচারের বিভিন্ন সাইট ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব সাইট বন্ধ করতে সাইবার সিকিউরিটি টুলস কাজ করবে। বিটিআরসি এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে চলছে ভয়াবহ সাইবার যুদ্ধ। এই যুদ্ধ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও বিরোধী শক্তির মধ্যে। বিরোধী শক্তি দেশে-বিদেশে বসে দেশ ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার অপরাধীদের কাছ থেকে ভয়াবহ সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিটিআরসি সাইবার সিকিউরিটি টুলস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল, ইউটিউব, মাইক্রোব্লগিং সাইট, টুইটারসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও ওয়েবসাইটে অপপ্রচার ও গুজবের ভয়ঙ্কর বিষয় ছড়ানো হতে পারে। সম্প্রতি স্কুলের ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে দেশ ও সরকারবিরোধী নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এখনও তা চলছে। এতে দেশের মানুষ নানাভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে। আগামীতে যাতে কেউ অপপ্রচার চালাতে না পারে তার জন্য সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করা হবে। ফেসবুকের কাছ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিতর্কিত পোস্ট, ঘৃণাসূচক বক্তব্য প্রচার ও মিথ্যা ভিডিও বার্তা প্রচার করে সামাজিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে টুইটারে মিথ্যা ক্ষুদ্র-ব্লগ লিখে সরকারবিরোধী অপপ্রচার যাতে কেউ চালাতে না পারে সেদিকেও নজরদারি করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন ব্লগ ও এ ধরনের ওয়েবসাইটে যাতে কেউ কোনও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালাতে না পারে, বিনা কারণে উস্কানি দিতে না পারে তাও মনিটরের আওতায় আসবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের মানুষ ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘কন্টেন্ট ফিল্টারিং’ করার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যদি কোন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় প্রয়োজনে ইন্টারনেট বন্ধের মতো পদেক্ষেপও সরকার নিতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতম সেক্রিফাইস করতেই হবে। এটি খুব সঙ্গত কারণেই করতে হবে। রাষ্ট্র বাঁচাব না ফেসবুক বাঁচাব? আমাকে অবশ্যই রাষ্ট্র বাঁচাতে হবে। প্রকল্পটি ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক যেটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কন্টেন্ট ফিল্টারিং অথবা যে ধরনের বিষয় যাচাই-বাছাই করা দরকার তা করতে সক্ষম হব। আগামী নির্বাচনের সময় বা কোন ঘটনা ঘটলে আবারও ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সবার আগে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হবে কিংবা জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে তখন প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকা- এটা কোন অবস্থাতেই নয়। আমাকে বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর সেক্রিফাইস করতেই হবে।
×