ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৩৬ নৌযান

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৬ আগস্ট ২০১৮

ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৩৬ নৌযান

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য দেশের সর্ববৃহৎ ও বিলাসবহুল ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ৩০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চ এবং ছয়টি সরকারী জাহাজ ও স্টিমার সার্ভিস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সূত্রমতে, যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিগত সময়ের মতো নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। তবে গার্মেন্টস সেক্টরে ছুটি একত্রে হলে গতবারের মতো হঠাৎ যাত্রীচাপ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হতে পারে নৌ-কর্তৃপক্ষকে। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এবং নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঈদ-উল-আজহাকে ঘিরে ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে ঘরমুখো মানুষ। সে লক্ষ্যে ১৮ তারিখ থেকেই স্পেশাল সার্ভিসের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। তবে গার্মেন্টস সেক্টরের ছুটিকে কেন্দ্র করে ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই এ রুটে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকবে। যারমধ্যে ২০ জুলাই চাপ সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন লঞ্চ মালিকরা। এরমধ্যে ৩১ জুলাই বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ বেশি থাকবে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বরিশাল নদীবন্দরকে ঘিরে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যারমধ্যে নদী বন্দর এলাকায় যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, আর্চওয়ে গেট বসানো, ঢাকামুখী নৌযানের বার্দিং (পার্কিং) প্লেস প্রসারিত করা, ঈদের আগে ও পরের সাতদিন করে ১৪ দিন বাল্কহেডসহ ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, নদীতে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র টহল নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও মেরিন ক্যাডেট, স্কাউট, গার্লস গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামাসহ সার্বিক সহযোগিতা করবেন। থানা ও নৌ-পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা বন্দর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। অসুস্থসহ উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যানবাহনসহ বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, এবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় লঞ্চে মালামাল পরিবহন অনেকটাই বন্ধ রাখা হয়। এ সময় লঞ্চগুলো মালামাল পরিবহন বন্ধ রেখে লোড লাইনের ওপর ভিত্তি করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লোড লাইনের ওপরে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে কোন লঞ্চকেই সুযোগ দেয়া হবে না। ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র মনিটরিং ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন।
×