ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০২২ সালে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাবে ভারত

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ১৬ আগস্ট ২০১৮

২০২২ সালে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাবে ভারত

ভারত প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দিল্লীর লালকেল্লায় ভারতের ৭২তম স্ব^াধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর এনডিটিভির। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর মহাশূন্যে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হবে ভারত। আগামী বছর ভারতের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই মোদির শেষ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ২০২২ সালে যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করবে তখন ভারতের একজন পুত্র অথবা একজন কন্যা তেরঙ্গা (ভারতের জাতীয় পতাকা) হাতে নিয়ে মহাশূন্যে যাবে। ভারতের মহাকাশ সংস্থা আইএসআরও ২০২২ সালের ওই মহাকাশ মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ভাষণে মোদি আরও জানিয়েছেন, সরকার আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের দরিদ্র নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা বীমা স্কিম চালু করতে যাচ্ছে। ভারতের দরিদ্রদের ভালমানের সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার এটিই সঠিক সময়। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ নামের এই কর্মসূচীটি ভারতের ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনবে এবং তা সরকারী তহবিলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য কর্মসূচী হবে। বক্তব্য দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিফলক রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনার তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ আত্মবিশ্বাসের অনন্য উচ্চতায় আসীন। আমরা এক ইতিবাচক পরিস্থিতিতে ৭২তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। আমাদের মেয়েরা আজ সাত সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে, সমুদ্রের তলদেশে আমাদের পতাকাকে রঙ্গীন করছে। যখন কোন ভারতীয় কোথাও যায় তখন বিশ্বের সব দেশ তাদেরকে স্বাগত জানায়। ভারতীয় পাসপোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আরও উন্নতি লাভ করতে চাই। আমাদের পথ বন্ধ করে দেয়ার বা চেষ্টা করার কোন উপায় নেই। আজ আমরা এমন এক সময়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করছি যখন বিশ্বের যেকোন জায়গায় থাকা যেকোন ভারতীয় এজন্য গর্ব অনুভব করবেন যে আমরা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হিসেবে স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। ভারতে আজ হাজার হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। গল্পটি পরিবর্তিত হয়েছে। সম্প্রতি পার্লামেন্টের অধিবেশন শেষ হয়েছে। এতে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পার্লামেন্ট অধিবেশনে আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন (ওবিসি) বিল সৃষ্টি করা হয়েছে। যখন এক শ’ ২ কোটি স্বপ্ন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় তখন সেখানে কেউই কিছু করতে পারে না। ২০১৪ সালে দেশের জনগণ সরকার গঠনে আটকাতে পারেনি। তারা জাতি গঠনের কাজে যোগ দিয়েছে এবং তারা তা সফলভাবে করতে পেরেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সে সময় লাল ফিতায় বাঁধা ছিল আর এখন মানুষ কথা বলছে লাল গালিচা নিয়ে। তারা কথা বলছে অলস নীতি নিয়ে।
×