দেশীয় নৃত্যকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে চান ববি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এই সময়ের অন্যতম প্রতিভাময়ী নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য শিক্ষক আফরোজা সুলতানা ববি। বর্তমানে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্রে নৃত্যশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি নৃত্য নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। তা ছাড়া নাচের কোরিওগ্রাফার হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিয়মিভাে কাজ করছেন। দেশীয় নৃত্যকলাকে আন্তর্জাতিক পরিম লে উপস্থাপন করতে চান আফরোজা সুলতানা ববি। সে লক্ষ্যেই নিজেকে নিবেদন করছেন তিনি। ১৯৯২ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) মাধ্যমে নৃত্যে হাতেখড়ি নেন ববি। এরপর নৃত্যগুরু“মাতা রাহিজা খানম ঝুনু, অনিক বোস, লিখন রায়, ফারহানা চৌধুরী ও আনিসুর রহমান হিরুর কাছে নৃত্যে তালিম নেন। ২০০৩ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে স্থান করে নেন ববি। ভুটানসহ কয়েকটি দেশে পারফর্ম করেছেন তিনি। নৃত্যকলায় একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন। ববির বাবার নাম আশ্রাফ উদ্দিন খান, মা আক্তার পারভীন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় তার নৃত্যযাত্রা শুরু হয়েছে। এরপর থেকে দিনরাত নৃত্যসাধনা করে চলছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, শৈশব থেকেই আমি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এখনও সেই স্বপ্নে বিভোর রয়েছি। নৃত্যগুরু“মাতা রাহিজা খানম ঝুনু ম্যাডাম এ বিষয়ে আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছেন। তার সহচার্যে থেকে নৃত্যের কঠিন কঠিন সব মুদ্রা আয়ত্ত করেছি। তার পরেও বলতে সাহস হচ্ছে না, আমি পরিপূর্ণ নৃত্যশিল্পী হতে পেরেছি। তাই আমি আজীবন নৃত্যশিল্পী হওয়ার সাধনা অব্যাহত রাখব। নৃত্য নিয়ে নিজের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ববি বলেন, নৃত্য হচ্ছে শিল্পের সবচেয়ে প্রাচীন মাধ্যম, যা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। তাই নৃত্যচর্চাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের নাচের সংগঠনগুলোকে একত্র করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের দেশের নৃত্যশিল্পকে বিশ্বমানের করে তুলতে হবে। তাছাড়া আমি মনে করি, নৃত্যশিল্পে এখন পেশাদারিত্বের জায়গা তৈরি হয়েছে। অনেকেই একে পেশা হিসেবে গ্রহণও করেছেন। বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের মধ্যে নাচের আগ্রহ তৈরি হওয়ায় নৃত্যশিক্ষার স্কুলের সংখ্যাও বাড়ছে। ওইসব স্কুলে আমার মতো নৃত্যশিল্পীরা শিক্ষকতা করছেন। তাছাড়া এখন নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজনও বেশি হচ্ছে। ফলে পেশা হিসেবে নৃত্যকে প্রধান্য দেয়া যায় বলে মনে করছি। আফরোজা সুলতানা ববি তার নিষ্ঠা এবং সাধনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবেন তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। তার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।