ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় বিদ্যুতের সাড়ে ৮ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৫ আগস্ট ২০১৮

 ঢাকায় বিদ্যুতের সাড়ে ৮ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় বিদ্যুতের ৮ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। নতুন প্রি-পেইড প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকার রমনা, জিগাতলা, ধানমন্ডি, আদাবর, পরিবাগ, কাকরাইল, বনশ্রী, মগবাজার, শ্যামলী, কামরাঙ্গীরচর, বাংলাবাজার, নারিন্দা, পোস্তগোলা, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা, শীতলক্ষ্যা ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় প্রি-পেইড মিটার বসানো হবে। বর্তমান পোস্ট পেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর কারিগরি ও অ-কারিগরি সিস্টেম লস হয় এবং বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকে। প্রি-পেইড মিটার বসানো হলে সেটি আর থাকবে না। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় এসব মিটার বসানোর প্রকল্পে খরচ হবে ৬৫৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মঙ্গলবার একনেকের সভায় এটিসহ মোট নয়টি প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা। চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই তা ১৯ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। চলতি বছর শেষে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার বসানো হলে গ্রাহক ও সেবাদানকারী উভয়ই লাভবান হবেন। বিল নিয়ে গ্রাহকের যেমন অভিযোগ থাকবে না, তেমনি সেবাদানকারীরাও আরও উন্নত সেবা প্রদানে সচেষ্ট হবেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারী তহবিল থেকে ৬০৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে। সভায় সড়কের যথাযথ মান নিশ্চিতকরণ ও প্রশস্ততা বাড়ানো সংক্রান্ত পাঁচটি প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, যাতে ব্যয় হবে ২১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার জেলা মহাসড়ক, করটিয়া-বাসাইল জেলা মহাসড়কের পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন জেলা মহাসড়কের দেলদুয়ার-এলাসিন অংশকে যথাযথ মানেও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন মহানন্দা নদীর শেখ হাসিনা সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সভায় অনুমোদিত অন্য তিনটি প্রকল্প হলো- এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প, সম্ভাব্য ব্যয় ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পুলিশের ডাটা সেন্টারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্প, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, নয়টি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা খাত থেকে ৬৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
×