ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় শোক দিবসে নাশকতার আশঙ্কা নেই ॥ আছাদুজ্জামান

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৫ আগস্ট ২০১৮

   জাতীয় শোক দিবসে নাশকতার আশঙ্কা নেই ॥  আছাদুজ্জামান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় শোক দিবসে কোন ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। তবে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। শোক দিবসে নানা অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোন গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে পারে। ঢাকা বর্তমানে একটি গুজবের শহরে পরিণত হয়েছে। কেউ কোন গুজবে কান দেবেন না। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান স্থলে ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ভ্যানিটিব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, দিয়াশলাইসহ যে কোন ধরনের দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন। বললেন, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কোন প্রকার নাশকতার আশঙ্কা নেই। তারপরেও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি খাটো করে দেখা হচ্ছে না। জাতীয় শোক দিবসে ঢাকা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। নিরাপত্তা জোরদার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা বর্তমানে একটি গুজবের শহরে পরিণত হয়েছে। কেউ কোন গুজবে কান দেবেন না। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকার প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। আশপাশের ভবনগুলোতে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলার ও ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখা হবে। আশপাশের রাস্তাগুলোতে বসেছে ঘন ঘন চেকপোস্ট। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব। আর সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। বসানো হয়েছে দুইটি কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে সব সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হচ্ছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও বাসাগুলোতে তল্লাশি চলছে। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহনের চলাচল। সকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং কূটনীতিকরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তারা বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচারক ও প্রসিকিউটরদের। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গীসহ উগ্র মৌলবাদী রাজনৈতিক দল ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চলছে। উপাসনালয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ভবন, ঐতিহাসিক স্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
×