ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তির জন্য...

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৪ আগস্ট ২০১৮

  প্রযুক্তির জন্য...

পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ হয়ে উঠেছে প্রযিুক্তনির্ভর। বেড়েছে আধুনিকতা, অবহেলিত হয়েছে স্বাস্থ্য। রাতের স্বাভাবিক ঘুমে বাদ সেধেছে আধুনিক প্রযুক্তি। অগ্রাধিকার পেয়েছে টিভি অথবা মোবাইল ফোন। বিশেষ করে যারা শহরের বাসিন্দা, মূলত একা, একাকিত্ব দূরীকরণের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে অনেকেই সঙ্গী করেন নিজের স্মার্টফোনকে। এভাবেই কেটে যায় সময়। আর নিজের অজান্তেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনিদ্রা রোগে। সম্প্রতি ভারতে ৭ হাজার ৫শ’ মানুষের ওপর গবেষণাটি চালান হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লী, হায়দরাবাদ ও কলকাতার বাসিন্দা। গবেষণার ফল হিসেবে সামনে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে বলা হয়, গড়ে ৩১ শতাংশ মানুষ রাতে ৭ ঘণ্টারও কম ঘুমান। যা শুধু বিস্ময়কর নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে। কারণ, দিনের স্বাভাবিক কাজকর্মের ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়ে থাকে। অন্যদিকে, টিনএজারদের ঘুমের পরিমাণ আরও কম, প্রায় ৬ ঘণ্টার মতো। ভারতের ১১ শতাংশ নারী ঘুমান মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। গবেষণার ফলাফল থেকে উঠে আসে একটাই প্রশ্ন, ঘুমের সময় হ্রাসের মূল কারণ কী? অতিরিক্ত কাজ না অন্যকিছু? তথ্য জানাচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই ঘুমের সময় টেলিভিশন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে পছন্দ করেন। যা ব্যাঘাত ঘটায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। তাই বলা যায়, টেক-ফ্রেন্ডলি কালচার দেশজুড়ে ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে অনিদ্রাকে। গবেষণার তথ্য অনুসারে, ৩২ শতাংশ মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তি অনুভব করেন। -বিবিসি
×