ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করতোয়ায় ছয় লেনের নতুন দুটি সেতু নির্মাণ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১৪ আগস্ট ২০১৮

 করতোয়ায় ছয় লেনের  নতুন দুটি সেতু নির্মাণ শুরু

সমুদ্র হক ॥ সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) যোগাযোগের প্রতি লক্ষ্য রেখে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে করতোয়া নদীর ওপর নতুন করে গার্ডার কনস্ট্রাকশনের ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ৮০ মিটার দৈর্ঘের ও ১৪ দশমিক ৭ মিটার প্রস্থের পাশাপাশি দুইটি ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি) অধীনে। দুই ব্রিজ হবে ছয় লেনের। নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ওই প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের পাঁচটি জোনে ঝুঁকিপূর্ণ যে ৬০টি ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে তার মধ্যে মহাস্থান ব্রিজ পড়েছে। মহাস্থান ব্রিজ রংপুর জোনের আওতায়। এই জোনে নির্মাণাধীন ১৯টি ব্রিজের ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫শ’৪৭ কোটি টাকা। এই অর্থের একাংশে নির্মিত হচ্ছে মহাস্থান ব্রিজ। এই ব্রিজ থাকছে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে নির্মাণাধীন চার লেনের মহাসড়কের মধ্যে। প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহসিন হাওলাদার জানান, চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দুইটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সেতুগুলো হবে প্রতিটি তিন লেন করে ছয় লেনের। সুদূরপ্রসারী ভাবনায় একটি করে লেন থাকছে নন মোটরাইজড ভেহিক্যালস (এনএমভি) চলাচলের জন্য। গত বছর আগস্ট মাসে ৬২ বছরের পুরনো মহাস্থান সেতুর কয়েকটি গার্ডারে ফাটল দেখা দিলে সেতু বন্ধ রেখে বিকল্প সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর সেতুর নিচে স্টিলের খাঁচা খুঁটি বানিয়ে কোন রকমে সচল রাখা হয়েছে। ওই সেতুর কাছে দুইটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ব্রিজটি নির্মাণে সময় ধরা হয়েছে ২৬ মাস। এক বছরে ব্রিজটির কার্যকারিতা দেখে এবং কোন ত্রুটি থাকলে তা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারিয়ে নেয়ার পর দ্বিতীয় ব্রিজটি নির্মিত হবে। যা নির্মাণে সময় ধরা হয়েছে নয় মাস। মহাস্থান ব্রিজের নির্মাণ কাজ পেয়েছে মনিকো সিপিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের প্রতিষ্ঠান। উপদেশক জাইকা। ডব্লিউবিবিআইপি প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহসিন হাওলাদার জানান, প্রকল্পের ৬টি ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে বিশেষায়িতভাবে। এর মধ্যে মহাস্থান ব্রিজটিও অন্তর্ভুক্ত।
×