ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘এ মুহূর্তে দলে কোন জায়গা নেই’

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৩ আগস্ট ২০১৮

  ‘এ মুহূর্তে দলে কোন জায়গা নেই’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহাম্মদ আশরাফুল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও আজকের পর থেকে খেলতে পারবেন। তার নিষেধাজ্ঞা আজকের পর উঠে যাচ্ছে। আশরাফুলেরও আশা যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলে খেলতে পারেন। কিন্তু বিসিবির জাতীয় দলের নির্বাচকদের তো আশরাফুলকে নিয়ে ভাবতে হবে। তাদের ভাবনায় না আসলে কী আর জাতীয় দলের জার্সি আবার গায়ে জড়ানো সম্ভব? নির্বাচকরাও কিন্তু এ মুহূর্তে আশরাফুলকে নিয়ে কোন ভাবনায় নেই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেই দিলেন, ‘এ মুহূর্তে দলে কোন জায়গা নেই (আশরাফুলের)।’ আশরাফুলের জায়গা পেতে হলে আরও এক বছর নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এরপরই নাকি নির্বাচকদের ভাবনায় আসতে পারবেন আশরাফুল। প্রধান নির্বাচক নান্নু যেমন বলেছেন, ‘সে অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেই। সুতরাং ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরমেটে তাকে খেলতে হবে। ওর ফিটনেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সব ফরমেটে খেলুক, তারপর এক বছর যাওয়ার পর বুঝতে পারব তার ফিটনেস কোন্ লেভেলে আছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘দেখতে হবে, তাকে কোন ফরমেটের জন্য আমরা চিন্তা করব সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমরা এখন তেমন কোন চিন্তা করছি না। তারপরও সামনে ঘরোয়া মৌসুমটা আমরা দেখব, তারপর চিন্তা করব।’ আশরাফুলের বয়স এখন ৩৪। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৩ সালের মে মাসে। এরপর পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি। বিপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা করায় পাঁচ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন। আজকের পর সেই নিষিদ্ধাদেশ কেটে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা ২০১৬ সালেই কেটেছে। দুই মৌসুম ঘরোয়া লীগ খেলেছেনও তিনি। গত মৌসুমেই লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে ৫ সেঞ্চুরি করে আলোড়ন জাগিয়েছেন। কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক সেঞ্চুরির বেশি করতে পারেননি। তারচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার এখন শুধু জাতীয় দলে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাই। আশরাফুল যদি এক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কাড়েন, তাহলে কী বয়স বাধা হতে পারে? প্রধান নির্বাচক নান্নু বয়স নিয়ে ভাবছেন না। তিনি পারফর্মেন্সের ওপর এবং ফিটনেসের ওপর নজর দিতে চান। বলেছেন, ‘বয়স কোন বিষয় না। আপনার যদি ফিটনেস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয় তাহলে যে কোন প্লেয়ারই আসতে পারে। যেহেতু অনেক বয়স হয়ে গেছে আর বয়সের ব্যাপার আছে। তারপরও আমি বলব সে আমাদের দেশের জন্য অনেক ভাল ক্রিকেট খেলেছে। তার তো অবশ্যই সামর্থ্য আছে। তবে আমরা এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।’ সঙ্গে যোগ করেন আসল কথা, ‘এই মুহূর্তে যদি বলতে হয় তাহলে বলব, এই মুহূর্তে দলে কোন জায়গা নেই। আমাদের যে ফিটনেস লেভেল আছে, এইচপি থেকে শুরু করে ‘এ’ দল ও জাতীয় দলের ফিটনেসের সঙ্গে কিন্তু সে এ্যাটাচড না। এই জায়গায় আসতে হলে তাকে কিছু সময় দিতে হবে। এই লেভেলটা যদি থাকে তাহলে চিন্তা করা যাবে। সুতরাং এই মুহূর্তে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি না।’ বোঝাই যাচ্ছে, আশরাফুলকে কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে। এখন তো আর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এত সহজ নয়। ফিটনেস লেভেলটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যায়ে আসতে হবে। তারজন্য কঠোর অনুশীলন প্রয়োজন। আবার ঘরোয়া লীগে পারফর্মেন্সও হতে হবে সবার চেয়ে উর্ধে। তা না হলে কিভাবে জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হবেন আশরাফুল। তাই বুঝিয়ে দিলেন নান্নু, ‘ফিটনেসটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যায়ে আনতে হবে। আর পারফর্মেন্সটা অন্যদের তুলনায় অনেক ভাল হতে হবে। কারণ সে যে জায়গায় ব্যাট করে সেই জায়গায় অনেক ক্রিকেটার স্থায়ী হয়ে গেছে। জাতীয় দলের জন্য কোন প্লেয়ারকে যদি দেখা হয়, তাকে বিশেষ পারফর্মেন্স করেই আসতে হবে।’
×