ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইনমন্ত্রীর তথ্য

বঙ্গবন্ধুর এক খুনী ফেরানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি আছে

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৩ আগস্ট ২০১৮

   বঙ্গবন্ধুর এক খুনী ফেরানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি আছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এমনভাবে তারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন যে, তারা যেখানে গেছেন সেখানে দানা বেঁধে আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনীদের দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি সহজ নয় । আমাদের আইনী পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। একজন আসামির ব্যাপারে অগ্রগতি আছে। এখন তা বলা যাবে না। বলতে তারা সতর্ক হয়ে যাবে। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খুনীরা এক জায়গায় থাকছে না। তারা ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছে। ফলে তাদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। আমরা এরই মধ্যে দুইজন খুনীর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। তাদের ফিরিয়ে আনতে জোর আইনী প্রক্রিয়া চলছে। খুনী রাশেদ চৌধুরী যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই। বিষয়টি আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি নজরে নিয়েছে। আমাদের আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। খুনী নূর চৌধুরী কানাডায় আছেন। দেশটির সরকার তাকে রেসিডেন্ট এভিডেন্স দেয়নি। তবে তারা সেখানে থাকার জন্য কাগজপত্র পোক্ত করেছেন। কানাডার সরকারসহ অনেক দেশই মৃত্যুদ-ের বিপক্ষে। তারা এ কারণে ফেরত দিতেও অনীহা দেখাচ্ছে। কানাডায় নূর চৌধুরীর থাকার ব্যাপারে বৈধ কোন নাগরিকত্ব নাই। তিনি সেখানে একটি আবেদন করেছেন যে, বাংলাদেশে একটি মামলায় তিনি মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত, ফেরত পাঠালে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। এ কারণে কানাডা সরকার তাকে ফেরত পাঠাতে পারছে না। তবে অপর একজন আসামির ব্যাপারে অগ্রগতি আছে। এখন তা বলা যাবে না। আইনমন্ত্রী ওই আসামির নাম, তিনি কোন দেশে আছেন এ ব্যাপারে আর কোন কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, এই আসামির ব্যাপারে বিস্তারিত বললে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা ব্যাহত হতে পারে। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ খুনীর মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। আর দন্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন পলাতক। এর মধ্যে কারও কারও অবস্থান জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুনী শরিফুল হক ডালিম স্পেনে এবং মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদের অবস্থান এখনও জানা যায়নি।
×