ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রেনের আগাম টিকেট কাটার দিন শেষ, উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৩ আগস্ট ২০১৮

   ট্রেনের আগাম টিকেট কাটার দিন শেষ, উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকেট কাটার দিন শেষ হয়েছে। রবিবার ছিল ট্রেনের অগ্রিম টিকেট সংগ্রহের শেষ দিন। ঈদের ঠিক আগের দিন ২১ আগস্টের টিকেট দেয়া হয় রবিবার। এবারও বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখে রাস্তার ভোগান্তি থেকে বাঁচতে ট্রেনের টিকেটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল বেশি। তবে রেলওয়ে মানুষের টিকেটের চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে পারেনি। শেষ দিন ঈদের অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করতে কমলাপুরে মানুষের ঢল নামে। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রির শুরুর দিন থেকেই কমলাপুরে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে শনিবার সার্ভারে ত্রুটির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রামে স্টেশনে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। গত ৮ আগস্ট থেকে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এবার ২০ আগস্টের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল আটটা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। কমলাপুর টিকেট কাটার জন্য যে ২৬ কাউন্টার খোলা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এবারও মোট টিকেটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ৩০ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এদিকে ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। ঈদ ফেরত অগ্রিম টিকেট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিক্রি শুরু হবে। ফিরতি টিকেট ১৫ আগস্টে পাওয়া যাবে ২৪ আগস্টের টিকেট। একইভাবে ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ আগস্টের টিকেট। টিকেট বিক্রি শুরু হবে সকাল আটটায়। বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করলেও ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে। আর লঞ্চের কেবিনের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ১০ আগস্ট থেকে। কোরবানির ঈদে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ঈদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে ঈদ করতে যান। তবে এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে ট্রেনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। তবে ঈদ যাত্রার সব মানুষকে ট্রেন ঠাঁই দেয়া সম্ভব নয়। ঈদে ট্রেনের শোভন শ্রেণীতে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করায় ভিড়ের কারণে ট্রেনের এসি বগির প্রতি আগ্রহ বেশি ছিল। অবশ্য ট্রেনের এসি বগির সংখ্যা কম হওয়ায় সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি।
×