স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সরকার গৃহীত সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করছে, তাতে চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা দূর হবে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভাল ফল মিলবে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) সম্মেলন কক্ষে মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী কথাগুলো বলেন। তিনি কাজের অগ্রগতিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, এটা একটা মেগা প্রকল্প। এর মধ্যে কিছু কাজ আমরা করছি। আর কিছু কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াটার ডেভলপমেন্ট বোর্ড। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি স্লুইচগেটে মানুষ থাকতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডও অনেক স্থাপনা নির্মাণ করে। কিন্তু পরে যথাযথ তদারকির অভাবে বিকল হয়ে যায়। এখানেও তদারকি ঠিকমতো না হলে নষ্ট হবে। গণপূর্তমন্ত্রী প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, এরমধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। এতেই সুফল মিলতে শুরু করেছে। তিনি জানান, পরিকল্পনায় ৩৬টি খাল রাখা হয়েছে। খনন, পরিষ্কার করা, দখলমুক্ত রাখা, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, একপাশে রাস্তা, সিল্ট ট্র্যাপ, নিচু ব্রিজ কালভার্ট এবং সকল ইউটিলিটি লাইন উঁচু করা হবে। সেনাবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দুঃসাহসিক এ কাজে হাত দিয়েছে। সমাধান অবশ্যই হবে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ তার বক্তব্যে রেগুলেটরগুলো নির্মাণের পর এর দায়িত্ব কোন না কোন সংস্থাকে প্রদানের পক্ষে মত ব্যক্ত করেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লে. কর্নেল রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হাইড্রোগ্রাফার শামসুল আরেফিন।